চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য আসছে আরও একটি বিসিএস। এটি হবে ৪১তম বিসিএস। এই বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল)। এই বিসিএসে নেওয়া হবে ২ হাজার ১৩৫ জনকে।
৪১তম বিসিএসের বিষয়ে চাহিদাপত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হয়েছে। এখন সুবিধাজনক সময়ে পিএসসি এই বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।
পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসি নির্দেশনা পেয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চাহিদাপত্র তারা হাতে পেয়েছে। এই বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষাতে প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে।
শিক্ষার পরে বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পুলিশে ১০০, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জনকে নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাব রক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক ৮ জন নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ৩ জন নেওয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) ১৫ জনসহ মোট ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে।
বিসিএসের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪১তম বিসিএসের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। এখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৪১তম বিসিএস বিশেষ হবে না উল্লেখ করে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, অনেকে ধারণা করেছিলেন ৪১তম বিসিএস বিশেষ হবে, কিন্তু সেটি হচ্ছে না।
কবে নাগাদ এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আমাদের হাতে কয়েকটি বিসিএসের কাজ আছে। এগুলো শেষ করে এ বছরে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।’
পিএসসির চেয়ারম্যান জানান, ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ১৩৫ জনকে (ক্যাডার) নেওয়া হবে। তবে একেকটি বিসিএস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রার্থী নন–ক্যাডারে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ভালো ভালো পদে নিয়োগ পাচ্ছেন। সেই হিসাবে, একেকটি বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলে নিশ্চিত চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
৪০তম বিসিএসের জন্য গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। এতে আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৩ মে। এতে প্রায় ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এই বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।