আবারও বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট বাজারে

দুই সপ্তাহ আগেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ–সংকট ছিল। এরপর সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমালে সরবরাহ কিছুটা বাড়ে। তবে তিন-চার দিন ধরে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ আবার কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকার মতো বেড়েছে। তবে মোটা চাল, খোলা সয়াবিন ও পাম তেল, পেঁয়াজ, চিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নাখালপাড়া সমিতি বাজার ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে বাজারে যেসব নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে, তা মূলত ভারত থেকে আমদানি করা। এসব আলু বাজারভেদে ৯০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে দু-তিনটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর যেসব ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে, তা–ও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ ঠিক আছে; পণ্য দুটির দামও কিছুটা কমেছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকার মতো বেড়েছে। তবে মোটা চাল, খোলা সয়াবিন ও পাম তেল, পেঁয়াজ, চিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, আগের সপ্তাহের তুলনায় খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪-৫ টাকা ও পাম তেলের দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৭-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এক মাস আগের তুলনায় খোলা পাম ও সয়াবিনের দাম এখনো বেশি।

সপ্তাহ দুই আগেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ–সংকট তৈরি হয়। পরে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। পরে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায়। যদিও গত তিন-চার দিনে তা আবার কমেছে। এ বিষয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেওড়াপাড়া বাজারে গতকাল সয়াবিন তেল কিনতে আসেন গৃহিণী সুরাইয়া আক্তার। বাজারে চার দোকান ঘুরেও তিনি কোথাও বোতলজাত সয়াবিন পাননি। প্রথম আলোকে সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‘বাসায় সয়াবিন তেল একেবারে শেষ। গতকালও দোকানে এসে তেল পাইনি, আজও পেলাম না।’

সপ্তাহ দুই আগেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ–সংকট তৈরি হয়। পরে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। পরে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায়।

আলুর দাম বেড়েছে

অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে এ বছর আলুর বীজ লাগাতে দেরি করেছেন কৃষকেরা। এ কারণে মৌসুম চলে এলেও বাজারে এখনো দেশি নতুন আলু আসেনি। অন্যদিকে হিমাগারে মজুত করা পুরোনো আলুর সংগ্রহও শেষের দিকে। এ সুযোগে প্রায় এক মাস ধরে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছেন হিমাগার পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

এত দিন খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু (পুরোনো) বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। গত সপ্তাহে এ দাম আরও পাঁচ টাকা বেড়েছে। গতকাল ঢাকার বিভিন্ন বাজারে এক কেজি আলুর দাম ছিল ৭৫-৮০ টাকা। সব মিলিয়ে গত এক মাসে আলুর দাম কেজিতে ১০-২৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে যেসব নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে, তা মূলত ভারত থেকে আমদানি করা। এসব আলু বাজারভেদে ৯০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাসায় সয়াবিন তেল একেবারে শেষ। গতকালও দোকানে এসে তেল পাইনি, আজও পেলাম না।
গৃহিণী সুরাইয়া আক্তার