বিসিজির চোখে সাত কোম্পানি

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি)
বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি)

ওয়ালটন: দেশের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকসের বাজারে ওয়ালটন শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বিশ্ববাজারে নিজেদের আসন আরও শক্তিশালী করতে সম্প্রতি তিনটি ইউরোপীয় ব্র্যান্ড কিনেছে তারা। বিশ্বের ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্ক অধিকার আছে কোম্পানিটির। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢোকার জন্য ওয়ালটন মেক্সিকোতে চুক্তিভিত্তিক কারখানা নির্মাণের পথে এগোচ্ছে।

প্রাণ-আরএফএল: বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম বিস্তারের লক্ষ্যে অনেকটা স্বায়ত্তশাসনের পথে হাঁটছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই কোম্পানি। কোম্পানিটির অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য শাখা এখন ন্যূনতম কেন্দ্রীয় তদারকিতে কাজ করছে। যেমন কোম্পানিটির মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃত্বকে কেন্দ্রীয় অনুমোদন ছাড়াই স্থানীয় উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সামিট গ্রুপ: সামিট গ্রুপ দেশের বাইরে আঞ্চলিক সম্প্রসারণের পথ খুঁজছে। বিদ্যুৎ খাতে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা সরকারি দরপত্র ও বেসরকারি খাতে বিক্রির মাধ্যমে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালয়েশিয়ায় বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে সামিট গ্রুপ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও ব্যাটারি খাতে শক্ত ভিত তৈরির চেষ্টা করছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা যাচাইয়ে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে।

বিকাশ: বিশ্বের অন্যতম প্রধান মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফএস)। মোবাইল ফোন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ছয় কোটি মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে এসেছে তারা। ফরচুন ম্যাগাজিনের ‘বিশ্বকে বদলে দেওয়া-২০১৭’-এর তালিকায় স্থান পায় বিকাশ। যেসব কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে, সেই সব কোম্পানি এই তালিকায় স্থান পায়।

ব্র্যাক ব্যাংক: ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বাস করে, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমাজে প্রভাব বিস্তার করাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্র্যাক ব্যাংক মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার জন্য খ্যাত। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের শীর্ষ এসএমই ব্যাংক হওয়া। দেশের প্রায় ১০ শতাংশ এসএমইকে সেবা দিয়েছে তারা। তাদের ৮৫ শতাংশ এসএমই ঋণ জামানতবিহীন।

পিএইচপি: ইংরেজি আদ্যক্ষরের পিএইচপি মানে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি (পিস, হ্যাপিনেস, প্রোগ্রেস)। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাহাজভাঙাশিল্পকে পরিবেশবান্ধব করতে বিনিয়োগ করে। নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার স্বীকৃতি হিসেবে তারা হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনের (এইচকেসি) সনদ পেয়েছে।

রেনাটা লিমিটেড: রেনাটা বিক্রয়কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় মোমেন্টা নামের এক সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে ব্যবসা বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, সবকিছুই ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব। এর মাধ্যমে বিক্রয়কর্মীদের নৈপুণ্য নিরূপণ করা যায়।