বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেছেন, বাংলাদেশ নিজেই তার অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করবে। আর সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রগতির সাফল্যগাথা অন্য সব দেশকে জানাতে চায় বিশ্বব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকার একটি হোটেলে আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব কথা বলেন। মার্টিন রেইজার তিন দিনের সফরে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসেন এবং এটিই তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। অর্থ মন্ত্রণালয় আজ রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিশ্বব্যাংক সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয়। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণকারী দেশের মধ্যে অন্যতম।
অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবিলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
করোনাকালীন বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবিলা ও কোভিডের টিকা কেনায় অর্থায়নের জন্যও বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলেও অভিমত দেন মুস্তফা কামাল।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক গুয়াংজে চেন এবং ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন উপস্থিত ছিলেন।