আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া আলমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যেমন পুত্র, কন্যা বা অন্যান্য এবং তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আজ রোববার ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মানি লন্ডারিং পরিপালন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত দুই ব্যক্তি, তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাঁদের নামে কোনো লকার থাকলে এর ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে মাহবুব উল আলম হানিফ ও তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া আলমের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
মাহবুব উল আলম হানিফ, ফৌজিয়া আলম, তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কুষ্টিয়া–৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
এদিকে সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব–সম্পর্কিত তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ। ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মুন্নী সাহার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
মুন্নী সাহা বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।