৩ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় ২০ শতাংশ। তবে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিকেই উদ্বেগজনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ঋণ পরিশোধে পুরোপুরি ছাড় ছিল। কম সুদে ঋণপ্রাপ্তি ও ঋণ পরিশোধে কিছুটা ছাড় ছিল গত বছরেও। চলতি বছর থেকে ছাড় পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে, তবে বহাল আছে কম সুদের ঋণ। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের খেলাপি ঋণে। ফলে গত জানুয়ারি-মার্চ সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। আর এক বছরে (এপ্রিল ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে দেশে ব্যাংক খাতে ঋণ ছিল ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ওই সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয় ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশই এখন খেলাপি। ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসাব দেয়, তার তুলনায় প্রকৃত খেলাপি বেশি বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তাদের হিসাবে খেলাপি ঋণ হবে ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। আইএমএফ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি দেখানোর পক্ষে।

বেসরকারি ব্যাংকের এই অবস্থা দেখে আমি অবাক হয়নি। কারণ, কিছু বেসরকারি ব্যাংকের এক-দুজন পরিচালক একাই ব্যাংক চালাচ্ছেন। এসব ব্যাংকে কোনো সুশাসন নেই। এর প্রভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, আরও বাড়বে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের যে তথ্য দিয়েছিল, তা নিরীক্ষিত ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অনেক ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে গেছে। বেসরকারি খাতের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিকেই উদ্বেগজনক মনে করছেন ব্যাংকাররা। তিন মাসের ব্যবধানে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের এই অবস্থা দেখে আমি অবাক হয়নি। কারণ, কিছু বেসরকারি ব্যাংকের এক-দুজন পরিচালক একাই ব্যাংক চালাচ্ছেন। এসব ব্যাংকে কোনো সুশাসন নেই। এর প্রভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, আরও বাড়বে। কোনো খেলাপি ঋণ গোপন করলে তা আরও বড় সংকট হয়ে দেখা দেবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তদারকি ও পরিদর্শনব্যবস্থা কঠোর করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকই পারে বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় সুশাসন ফেরাতে।’

এসব ঋণ প্রায় এক যুগ আগে দেওয়া। এসব ঋণ মাঝে মাঝে পুনঃ তফসিল হয়। আবার কিছুদিন পর খেলাপি হয়ে পড়ে। এ কারণে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। নতুন বিতরণ করা কোনো ঋণ খেলাপি হয়নি।
ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়রা আজম

খেলাপি বাড়ছে বেসরকারিতেও

সরকারি ব্যাংক ও খেলাপি ঋণ একসময় একসূত্রে গাঁথা ছিল। এই প্রবণতা এখন ছড়িয়ে পড়েছে বেসরকারি ব্যাংকে। বিশেষ করে যেসব বেসরকারি ব্যাংক এক পরিবারের নিয়ন্ত্রণে, সেই ব্যাংকগুলোয় বেশি অনিয়ম হচ্ছে। এসব ঋণ ধীরে ধীরে খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে ঋণ আদায় না হওয়ায় বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক তারল্যসংকটে ভুগছে। অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে ও বেশি সুদে আমানত নিয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

পরিচালকদের অনিয়ম, বেনামি ঋণ ও বড় অঙ্কের ঋণের সুদ মওকুফের কারণে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। গত বছরে ব্যাংকটি ৩ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। এখন জানা গেল, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণে শীর্ষ ন্যাশনাল ব্যাংক। ফলে লোকসান ও খেলাপি ঋণে শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংকটি। গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।

নতুন ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর মধ্যে সীমান্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১ কোটি টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৪৩৫ কোটি থেকে ৬৭২ কোটি টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ১৪৮ কোটি থেকে ৩০৬ কোটি টাকা ও মধুমতি ব্যাংকের ৯৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা

মালিকানা পরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বাড়ছে। ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ফলে তিন মাসের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৪০২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ১০১ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণও একই সময়ে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। শরিয়াহভিত্তিক শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৯০৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকের মতো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মালিকানায়ও পরিবর্তন আসে ২০১৭ সালে। ২০২২ সালে ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা, যা গত মার্চে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেকে কিস্তির টাকা দিতে পারেনি। এ জন্য নিয়ম মেনে এসব ঋণ খেলাপি করা হয়েছে।’

গত ডিসেম্বরে ট্রাস্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা, গত মার্চে যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা। ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়রা আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব ঋণ প্রায় এক যুগ আগে দেওয়া। এসব ঋণ মাঝে মাঝে পুনঃ তফসিল হয়। আবার কিছুদিন পর খেলাপি হয়ে পড়ে। এ কারণে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। নতুন বিতরণ করা কোনো ঋণ খেলাপি হয়নি।’

আলোচ্য সময়ে প্রিমিয়ার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৮২ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৯৬ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকে ১ হাজার ৮২৯ কোটি থেকে ২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ১৯১ কোটি থেকে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা এবং যমুনা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫১৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৬২ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি এম রিয়াজুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েকটি বড় গ্রাহকের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ জন্য তারা পুনঃ তফসিল করতে চাইলেও আমরা রাজি হইনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব নিয়ে আপত্তি ছিল। এ জন্য ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।’

নতুন ব্যাংকেও খেলাপির ছায়া

নতুন ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর মধ্যে সীমান্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১ কোটি টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৪৩৫ কোটি থেকে ৬৭২ কোটি টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ১৪৮ কোটি থেকে ৩০৬ কোটি টাকা ও মধুমতি ব্যাংকের ৯৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা

মধুমতি ব্যাংকের এমডি সফিউল আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিসহায়তা উঠে গেছে। ব্যবসা–বাণিজ্য বেশ চাপে আছে। এ জন্য খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। তবে আমরা নগদ আদায় করে এসব ঋণকে নিয়মিত করার চেষ্টা করছি।’

সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ২০%

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত হচ্ছে রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা। অথচ এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার ব্যাংককে চলতি বছরের জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক চারটি হলো সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী।

ঋণের হিসাবে গত মার্চে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ ছিল অগ্রণী ব্যাংকে। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ১৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এরপর জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৪ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১২ হাজার ৬ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।

খেলাপি ঋণ বাড়ল কেন—এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সরোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের যে তথ্য ছিল, তা নিরীক্ষিত ছিল না। এটাই প্রকৃত খেলাপি ঋণ। এটা বেড়েছে কারণ অনেক পুনঃ তফসিল করা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। আবার আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় অনেক ঋণ খেলাপি দেখাতে হচ্ছে। খেলাপি ঋণ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপ অব্যাহত আছে।’

ব্যাংকার, পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংক তিন পক্ষকেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। তাদের জন্য খারাপ ও প্রভাবশালী গ্রাহকেরা ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রকৃত খেলাপি ঋণ কত, তা প্রকাশ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তাফা কে মুজেরি

খেলাপি ঋণ কমাবে কে

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণের হারে শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির খেলাপি ঋণ প্রায় ১১ শতাংশ। এরপরই অবস্থান বাংলাদেশের। সবচেয়ে কম খেলাপি ঋণের দেশ নেপাল, ২ শতাংশের কম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ আমদানি ব্যয়, ঋণগ্রহীতাদের নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল তদারকি ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বাড়ছে।

গত সোমবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নেতারা এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা এককভাবে ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর গত বুধবার এবিবি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় যাঁরা আছেন, তাঁদের বিশেষ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব নিতে হবে। এ জন্য ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

এখন প্রশ্ন উঠছে, কে করবে এ পরিকল্পনা, কে আনবে ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে পরিবর্তন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তাফা কে মুজেরি এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংকার, পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংক তিন পক্ষকেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। তাদের জন্য খারাপ ও প্রভাবশালী গ্রাহকেরা ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রকৃত খেলাপি ঋণ কত, তা প্রকাশ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে সততা, বিচক্ষণতা ও সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে ব্যাংক খাত তদারকি করতে হবে। দোষীদের শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই খেলাপি ঋণ কমবে।’