সংকটে নিত্যপণ্য বিক্রি কমেছে 

দেশের ভোগ্যপণ্যের বর্তমান বাজারের আকার ৪০০ কোটি ডলার। তা আগামী ২০৩০ সালে বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে।

এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসা সম্মেলনে ‘প্রাণবন্ত ভোগ্যপণ্য খাতের জন্য ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণিকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক অধিবেশনে অতিথিরা। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে

মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে বেচাকেনা কমেছে। কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের সংকটও বড় চিন্তায় ফেলেছে। এই অবস্থায় ভোগ্যপণ্যের বাজারে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সামগ্রিকভাবে টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজন। অন্যথায় আগামী দিনগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের মতো প্রভাব ভোগ্যপণ্যের বাজারের গতিপথ পাল্টে দেবে বলে ধারণা এ খাতের ব্যবসায়ীদের।

তবে এসবের মধ্যেও দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে বড় সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। বর্তমানের বার্ষিক ৪০০ কোটি ডলারের যে বাজার আছে, তা ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসা সম্মেলনের একটি অধিবেশনে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীরা। অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী

অনুষ্ঠানে তিন পর্বে ‘প্রাণবন্ত ভোগ্যপণ্য খাতের জন্য ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণিকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি এম এইচ এম ফাইরোজ ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি জাভেদ আখতার।

‘খাদ্যপণ্য ও নিত্যব্যবহার্য পণ্য (এফএমসিজি) ক্রয়ে আমাদের দেশের মানুষের মাথাপিছু ব্যয় এখনো অনেক কম,’ বলে উল্লেখ করেন জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, ‘এসব পণ্যের ক্ষেত্রে আমাদের বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয় মাত্র ২৩ ডলার। সেখানে থাইল্যান্ডের মানুষের ব্যয় ৪৩৮ ডলার। তবে এশিয়ায় বাজার বাড়ছে। সুতরাং দেশে তো বটেই, রপ্তানিতেও ভালো সুযোগ আছে।’

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘জুতার ক্ষেত্রে চীন ইতিমধ্যে তাদের বাজার হারাতে শুরু করেছে। ভিয়েতনাম কম মূল্যে শ্রমিকের যে সুবিধা পেত, তা এখন সেভাবে পাচ্ছে না। তাতে আমাদের ভালো করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে নীতিসহায়তার ব্যাপারটি আমরা সময়ে–সময়ে বিবেচনা করছি। বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতির আশু পরিবর্তন হবে।’

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ব্যবসায়ী সংগঠন এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, তুরস্ক–বাংলাদেশ ব্যবসায়িক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেদায়াত অনুর ওজদেন, মেরিকো বাংলাদেশের এমডি রাজেত দিবাকর ও বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির সভাপতি নকিব খান উপস্থিত ছিলেন।