সাফল্যের সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে দেশের অর্থনীতি

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি)
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি)

চলমান বৈশ্বিক আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রয় ও লেনদেন যাতে নিরাপদ হয়, তা নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ উন্নত ও নির্বিঘ্ন বাণিজ্য অর্থায়নের জন্য ওপেন অ্যাকাউন্ট বা খোলা হিসাব ও আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টরিং (আর্থিক লেনদেন ও এক ধরনের অর্থায়ন পদ্ধতি) গ্রহণ করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে তা এখনো সীমিত আকারে হয়, যা বিশ্বে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

গতকাল রোববার ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) আয়োজিত এক কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে ৩১টি ব্যাংকের ৯৬ ও ২৪টি কোম্পানির ৩২ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি সময় থেকে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার হয়েছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সব বাধা অতিক্রম করে দেশের অর্থনীতি সাফল্যের সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। এতে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের নীতিগত সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে জন্য বৈদেশিক বাণিজ্য লেনদেনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়তার নীতি প্রসারিত করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, নেদারল্যান্ডসের ফ্যাক্টর চেইন ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব পিটার মুলোরি, আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ (রুমী) আলী ও মহাসচিব আতাউর রহমান, প্লামি ফ্যাশনসের মো. ফজলুল হক, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের সাপ্লাই চেইন মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মহসিন রেজা, এফআইসিসিআই সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ।