নিউইয়র্কে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) মালিকানাধীন রুজভেল্ট হোটেল ইজারা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। নিউইয়র্ক নগর প্রশাসনের কাছে তিন বছরের জন্য এই হোটেল ইজারা দিয়েছে ইসলামাবাদের কর্তৃপক্ষ।
গালফ নিউজের সংবাদে পাকিস্তানের রেল ও বিমানমন্ত্রী খাজা সাদ রফিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই হোটেল ইজারা দিয়ে পাকিস্তান সরকার ২২ কোটি ডলার পাচ্ছে।
পিআইএ নিউইয়র্ক সিটি হেলথ অ্যান্ড হসপিটালস করপোরেশনের সঙ্গে এ লক্ষ্যে চুক্তি করেছে। সংবাদে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ এই হোটেল অভিবাসীদের আবাসনসুবিধা দেবে। কোভিডের সময় থেকেই এই হোটেল আর্থিকভাবে টানাটানির মধ্যে আছে, এমনকি ২০২০ সালে তা বন্ধও হয়ে গিয়েছিল।
চুক্তির অধীন নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ তিন বছর এই হোটেল পরিচালনা করবে। খাজা সাদ রফিক সাংবাদিকদের বলেছেন, এই হোটেলের ১ হাজার ২৫টি কক্ষের মধ্যে ৬০০টি কক্ষ ইতিমধ্যে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ৪২৫টি কক্ষ ৩০ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রথম বছরের জন্য কক্ষের ভাড়া নেওয়া হবে ২০২ ডলার; দ্বিতীয় বছরের জন্য নেওয়া হবে ২০৫ ডলার আর তৃতীয় বছরের জন্য নেওয়া হবে ২১০ ডলার। এ ছাড়া হোটেলটি এখন যে অবস্থায় আছে, ঠিক একই অবস্থায় তিন বছর পর পাকিস্তান সরকারের কাছে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
খাজা সাদ রফিক আরও বলেন, এখান থেকে পাকিস্তান যে কেবল মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবে তা-ই নয়, সেই সঙ্গে এই হোটেল যে সরকারের জন্য দায় হয়ে উঠছিল, তা থেকেও রক্ষা পাবে কর্তৃপক্ষ। এমনকি এই হোটেল যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখনো এর বার্ষিক ব্যয় ছিল দুই কোটি ডলার। এ ছাড়া হোটেলটির বিদ্যমান দায় দুই কোটি ডলার। এই চুক্তির কারণে হোটেলের ৪০২ জন কর্মীর দায়িত্বভার থেকে পাকিস্তান সরকার রেহাই পেল, কারণ নতুন ব্যবস্থার অধীন মাত্র ৭৭ জন কর্মী কাজ করবেন।
এদিকে রুজভেল্ট হোটেল ইজারা দেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী খাজা সাদ রফিক আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের করাচি, লাহোর ও ইসলামাদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর আউটসোর্স করা হবে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) মাধ্যমে এসব বিমানবন্দর আউটসোর্স করা হবে।
আইএফসি ইতিমধ্যে ২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে এই বিমানবন্দর পরিচালনা আগ্রহপত্র পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ার পরামর্শক হিসেবে আইএফসি প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যান্য বিমানবন্দরের সংস্কার চলছে বলে জানিয়েছেন খাজা সাদ রফিক। তিনি জানিয়েছেন, কোয়েটা, ফয়সালাবাদ ও লাহোর বিমানবন্দরের উন্নয়নমূলক কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। চীনের সহায়তায় নির্মিত গোয়াদার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু হবে। এ ছাড়া সুকুর ও ডেরা ইসমাইল খানে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।