২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি কমবে

এ মুহূর্তে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রে
ছবি: রয়টার্স

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে জেরবার যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। এ মুহূর্তে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে দেশটিতে। তবে এর মধ্যে আশার কথা শুনিয়েছে বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গোল্ডম্যান স্যাকস আশা করছে, ২০২৩ সালে সরবরাহব্যবস্থার জটিলতা ধীরে ধীরে কমে আসবে এবং সেই সঙ্গে মজুরি বৃদ্ধির গতিও কমে আসবে। তখন মূল্যস্ফীতির হার কমে আসবে।

গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছে, ২০২২ সালে সরবরাহব্যবস্থার জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। গাড়িসহ অন্যান্য ভোক্তাপণ্যের মজুত বেড়েছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

অন্যদিকে দেশটির মজুরি বৃদ্ধির হার কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। খুচরা বিক্রয় ও হোটেল-মোটেল খাতে শ্রমিকের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। ফলে ২০২৩ সালের শেষ ভাগে বার্ষিক ভিত্তিতে মজুরি বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট হ্রাস পাবে।

গোল্ডম্যান স্যাকস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচার (পিসিই) বা ভোগব্যয় সূচক ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ফেডারেল রিজার্ভের এ সূচক মূল্যস্ফীতির অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণী দেয়। ফেড মনে করছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ সূচক ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাসের কিছুদিন আগে ফেডের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সতর্ক করে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তী সভায় সুদহার বৃদ্ধির গতি হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হওয়ার কারণে এখন নীতি সুদহার বৃদ্ধির ধারায় রাশ টানার বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। কারণ, নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ বছরের অর্ধেক সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল-জুন সময়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন বহুজাতিক ব্যাংকটি জানায়, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি গত অক্টোবরের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে আছে।