আবারও এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে বসেছেন ভারতের গৌতম আদানি। দেশটির আরেক ধনী মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে তিনি এশিয়ার শীর্ষ ধনী হয়েছেন। অর্থাৎ গৌতম আদানি এখন ভারতেরও শীর্ষ ধনী।
ভারতের এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লুমবার্গের গতকালের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ১১১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুকেশ আম্বানির সম্পদমূল্য ছিল ১০৯ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম অনেকটা বেড়েছে। মার্কিন বিনিয়োগবিষয়ক সংস্থা জেফারিজ আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে করা এক প্রতিবেদনে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে। এ খবরে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। তাতে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ২৩ লাখ কোটি রুপি। ফলে মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে আবারও এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে উঠে যান গৌতম আদানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গৌতম আদানির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৫৪৫ কোটি ডলার। চলতি বছরের ৩ জুন পর্যন্ত আদানির সম্পদমূল্য বেড়েছে ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ।
এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের শতকোটিপতিদের তালিকায় একাদশ স্থানে আছেন গৌতম আদানি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও কিছুদিনের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে বসেছিলেন গৌতম আদানি।
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে গৌতম আদানির। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি মার্কিন শর্টসেলার প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ তোলার পর সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।