সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ে যাচ্ছে। কোম্পানির পুনর্গঠন ও খরচ কমানোর অংশ হিসেবে এই কাজ হাতে নিয়েছে কোম্পানিটি। এই সিদ্ধান্ত হাজার হাজার কর্মীর চাকরিকে প্রভাবিত করতে পারে। একই সঙ্গে কোম্পানির কিছু বড় কর্তাকে নিচের পদে কাজ করতে হতে পারে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।
বৈশ্বিক বিজ্ঞাপনের বাজার দুর্বল হওয়া ও ক্রমাগত ব্যয় বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিটি গত বছর তার মোট জনশক্তির ১৩ শতাংশের মতো বা ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করে। এ ছাড়া ফেসবুক পরিকল্পনা করছে সরাসরি রিপোর্ট ছাড়াই কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে এখন নিচের পদে কাজ করতে বলা হবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে আরও জানিয়েছে, শীর্ষ নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ও কোম্পানির ইন্টার্নদের মধ্যে ব্যবস্থাপনার স্তর আরও কমিয়ে আনার পরিকল্পনাও আছে মেটার।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বক্তব্য চাওয়া হলে মেটা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন একাধিক টুইট বার্তায় জাকারবার্গের পূর্ববর্তী বেশ কয়েকটি বিবৃতি উদ্ধৃত করেছেন, যাতে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি আসছে।
জাকারবার্গ এই মাসের শুরুর দিকে মেটার বিনিয়োগকারীদের বলেছিলেন, ‘গত বছর কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত ছিল দক্ষতার ওপর জোর দেওয়ার একটা প্রক্রিয়া। যেটা শুরু হয়েছে কিন্তু এখনো শেষ হয়নি।’ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, ব্যবস্থাপনায় মধ্য স্তরের কয়েকটি ধাপ বাদ দিয়ে কোম্পানির কাঠামোয় স্তর কমিয়ে আনার প্রচেষ্টাও চালাবেন তিনি।
মেটা তার ১৮ বছরের ইতিহাসে গত বছর প্রথমবারের মতো কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে যায়। গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো প্রযুক্তি খাতের বিশাল কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে হাজার হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে।
করোনা মহামারির সময় ঘরে আবদ্ধ মানুষ যখন তুলনামূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করত, তখন কোম্পানির কাজ বেড়ে যাওয়ায় ফেসবুক ব্যাপকভাবে কর্মী নিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিজ্ঞাপনদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে ব্যয় কমাতে শুরু করে ফেসবুক।