যুক্তরাজ্যভিত্তিক বৈশ্বিক অনলাইন বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম (বুক স্টোর) বুক ডিপোজিটরি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজন। ক্রমে বেড়ে যাওয়া আনুষঙ্গিক খরচ কমানো ও কর্মী ছাঁটাইয়ের অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তারা। ফলে প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর বন্ধ হতে চলেছে জনপ্রিয় এ বই বিক্রির প্ল্যাটফর্মটি। খবর সিএনএনের
গতকাল বুধবার এক ঘোষণায় বুক ডিপোজিটরি জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে কার্যক্রম বন্ধ করবে তারা। তবে গ্রাহকেরা ওই দিন মধ্যাহ্ন পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য সময়) বই কেনার অর্ডার দিতে পারেন। আর আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছে অর্ডার করা পণ্যগুলো পৌঁছে দেবে তারা।
যুক্তরাজ্যে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বই বিক্রির কোম্পানি বুক ডিপোজিটরি। বুক ডিপোজিটরির ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২০টি দেশে কোনো ডেলিভারি খরচ ছাড়াই দুই কোটির বেশি বই বিক্রি করেছে তারা। বুক ডিপোজিটরিকে ২০১১ সালে কিনে নেয় অ্যামাজন।
খরচ কমাতে সম্প্রতি কঠোরভাবে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে অ্যামাজন। গত জানুয়ারিতে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অ্যান্ডি জ্যাসি জানান, কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে অনেক বেশি পরিমাণে জনবল নিয়োগ করেছে। এ কারণে এখন অনিশ্চিত অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে পড়েছে তারা।
এ জন্য বিশ্বব্যাপী ১৮ হাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন অ্যান্ডি জ্যাসি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই বুক ডিপোজিটরি বন্ধ হতে চলেছে।
ছাঁটাইপ্রক্রিয়া নিয়ে অ্যান্ডি জ্যাসি জানুয়ারিতে বলেন, ‘যাঁরা চাকরি হারাবেন, তাঁদের সমর্থন করার জন্য আমরা কাজ করছি। একটি প্যাকেজের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আলাদা প্রণোদনা, সাময়িক স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা ও অন্যত্র চাকরির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি সুবিধা দেওয়া হবে।’
গত মার্চে আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় অ্যামাজন। তবে বুক ডিপোজিটরি বন্ধ হলে সেখান থেকে কতজন কর্মী ছাঁটাই হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে বুক ডিপোজিটরি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সিএনএন। তবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বই বিক্রেতা প্ল্যাটফর্মটি।