চলতি ২০২৪ সালের শেষে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিস রেটিংস আজ শুক্রবার এই পূর্বাভাস দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ভারতীয় অর্থনীতি এখন একটি দারুণ অবস্থায় রয়েছে। আর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (আরবিআই) মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি মোকাবিলায় তুলনামূলক কঠোর মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখতে হতে পারে।
ভারতের অর্থনীতিতে আগামী ২০২৫ সালে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে মুডি'স৷
ভারতে বর্তমানে খুচরা মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, যা বিগত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি আরবিআই তথা ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি। বিশেষ করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আর বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্যমূল্যে চাপ পড়েছে, অর্থাৎ অস্থিরতা রয়েছে বলে সংস্থাটি মনে করে।
মুডিস বলছে, ‘ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া এবং আবহাওয়া চরমভাবে বৈরী হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপগুলো মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি কমাতে পারছে না। সে জন্য আরবিআই সতর্কতার সঙ্গে নীতি সহজ করায় জোর দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত অক্টোবর মাসে রেপো রেট ৬ দশমিক ৫ শতাংশে স্থিতিশীল রেখেছে। এই ধারা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি মোকাবিলায় রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আগামী বছরও কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করবে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। মূলত পারিবারিক পর্যায়ের খরচ তথা ভোক্তাদের ব্যয়, বিনিয়োগ প্রবাহ এবং উত্পাদন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) ভারতীয় অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশিত ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিবেদন’-এ বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। এর আগেও তারা একই পূর্বাভাস দিয়েছিল। আইএমএফের মতে, আগামী অর্থবছরে ভারতের জিডিপিতে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।