বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ভারতের গৌতম আদানির অবস্থানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের রিয়েল টাইম শতকোটিপতির তালিকায় আজ মঙ্গলবার তাঁর অবস্থান ছিল ১৭তম। এ তালিকায় গত শুক্রবার তাঁর অবস্থান নেমে গিয়েছিল ২২ নম্বরে। মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ অভিযোগ করে, ভারতের এই ধনকুবেরের কোম্পানি আদানি গোষ্ঠী শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি আর হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে কারসাজি করেছে। এর পর থেকে কমতে শুরু করে এই ধনকুবেরের সম্পদ।
ফোর্বস বলছে, বর্তমানে আদানির সম্পদমূল্য ৬ হাজার ১২০ কোটি ডলার। অথচ গত ২৫ জানুয়ারি হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আদানি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানির সম্মিলিত বাজার মূলধন ছিল ২১৮ বিলিয়ন বা ২১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ফোর্বসের বিশ্বের শীর্ষ ধনী বা শতকোটিপতিদের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন ৬০ বছর বয়সী গৌতম আদানি। পুরো পৃথিবীতে তোলপাড় ফেলে দেয় হিনডেনবার্গের ওই প্রতিবেদন। এরপর বিশ্ব গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা খবর প্রকাশ হতে শুরু করে।
হিনডেনবার্গের ওই প্রতিবেদন লন্ডভন্ড করে দেয় আদানি সাম্রাজ্যের সাজানো বাগান। দিন যত যাচ্ছিল, আদানি সাম্রাজ্য যেন ততই একটু একটু করে ধসে পড়ছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়ায় তাঁর সম্পদমূল্যও বেড়েছে। তাতে তিনি গতকাল দিন শেষে ফোর্বসের তালিকায় ১৭তম অবস্থানে উঠে এসেছেন।
হিনডেনবার্গ রিসার্চ মূলত নিজেদের ‘ফরেনসিক আর্থিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান’ হিসেবে পরিচয় দেয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ব্যবসার জগতে অব্যবস্থাপনা ও হিসাবের অনিয়মের মতো দুর্নীতি-জালিয়াতি খোঁজে তারা। বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ, ঋণ ও শেয়ারের মতো বিষয়গুলো। কোম্পানিটি নিজেরা বিনিয়োগও করে। ২০১৭ সালে নাথান অ্যান্ডারসন নামের এক ব্যক্তি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।