মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কট গত বছর কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি অ্যামাজনের ৬৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৫৩ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন। বর্তমান বাজারদরে এই শেয়ারের মূল্য ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার।
২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সঙ্গে ম্যাকেঞ্জির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি অ্যামাজনের ১৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৯৭ লাখ শেয়ার পান, যা শেয়ারহোল্ডারদের হাতে থাকা অ্যামাজনের মোট শেয়ারের ৪ শতাংশ। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর তকমা পান। এরপর তাঁর শেয়ার যেমন বেড়েছে, তেমনি সময় সময় তিনি শেয়ারও বিক্রি করেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, শেয়ার বিক্রির অর্থের একটি অংশ তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করেছেন।
জেফ বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ম্যাকেঞ্জি স্কট বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ ধনীর মতো গিভিং প্লেজ বা দান করার অঙ্গীকার শীর্ষক এক অঙ্গীকারনামায় সই করেন। এর মধ্য দিয়ে ধনীরা তাঁদের সিংহভাগ শেয়ার দাতব্য কাজে দান করার অঙ্গীকার করে থাকেন। এই তালিকায় আছেন ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস ও মার্ক জাকারবার্গের মতো শীর্ষ ধনীরা।
জেফ বেজোস নিজে এই অঙ্গীকারনামায় সই করেননি। যদিও তিনি বলেছেন, নিজের সম্পদের সিংহভাগ তিনি জলবায়ু পরিবর্তন এবং যে মানুষেরা মানবতাকে এক সূত্রে নিয়ে আসতে পারেন, সেই ধরনের মানুষের জন্য ব্যয় করবেন।
গত ডিসেম্বরে ম্যাকেঞ্জি স্কট ঘোষণা করেন, ২০২৩ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন ইল্ড গিভিংয়ের মাধ্যমে ২১৫ কোটি ডলার দান করেছেন তিনি। ঘোষণা অনুসারে, এই অলাভজনক সংস্থা ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানে দান করেছে।
গত কয়েক বছরে অ্যামাজনের কয়েক শ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করলেও ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, ম্যাকেঞ্জি স্কটের সম্পদের পরিমাণ এখন ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি।
মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি স্কটের বিবাহবিচ্ছেদ বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ হিসেবে সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়। ২০১৯ সালে ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটান তাঁরা। এ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী নারীর স্থানে উঠে আসেন ম্যাকেঞ্জি। জেফ বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ পান। এরপর সিয়াটলের এক শিক্ষককে বিয়ে করেন তিনি।