সাইবার উইকে রেকর্ড পণ্য বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবের ছুটিতে বিভিন্ন পণ্যে ব্যাপক মূল্যছাড় দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে দেশটির ক্রেতারাও রেকর্ড পরিমাণ পণ্য কিনেছেন। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্রেতারা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য কিনেছেন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকলেও থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটিতে এমন কেনাকাটার চিত্র দেশটিতে একটি ভালো ব্যবসা মৌসুমের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবের ছুটিতে ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও সাইবার মানডের মতো শপিং ইভেন্টগুলো থাকে। এসব ইভেন্টে ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়। চলতি বছরেও সৌন্দর্য পণ্য ও খেলনা থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক—সব পণ্যেই ক্রেতাদের জন্য ছাড় রয়েছে।

অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের তথ্য অনুসারে, থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের দিন থেকে শুরু হওয়া এবারের সাইবার সপ্তাহে অনলাইন ক্রেতাদের ব্যয় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যদিও আগে এই প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে ভোক্তাদের কেনাকাটার ওপরেও। যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেলয়েট এবং ওয়ালমার্ট ও মেসির মতো খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবে আশানুরূপ বিক্রি হবে না বলে আশঙ্কা করেছিল। তবে বিশাল সুবিধা ও ছাড় ভোক্তাদের কেনাকাটার বিষয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে। এতে বিক্রিও বেশি হয়েছে।

অ্যাডোবি ডিজিটাল ইনসাইটসের প্রধান বিশ্লেষক বিবেক পান্ডিয়া বলেন, ভোক্তাদের চাহিদার ক্ষেত্রে মূল্যছাড়ের বড় প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে ছাড়কৃত মূল্যে মানসম্মত পণ্য পেলে ভোক্তারা প্রচুর পরিমাণে কেনাকাটা করেন। এ বছরের সাইবার সপ্তাহজুড়ে রেকর্ড অনলাইন বিক্রি সেটিই দেখিয়েছে।

অ্যাডোবি জানিয়েছে, থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবে সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা হয় সাইবার মানডেতে। ওই দিন ইলেকট্রনিক পণ্যে ৩১ শতাংশ ও খেলনা পণ্যে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ছিল।

সাইবার মানডের পরে ক্রিসমাসেও ক্রেতারা কেনাকাটা বাড়াতে চেষ্টা করবেন। এ জন্য তারা ক্রেডিট কার্ডের অতিরিক্ত মাশুল ও সুদ এড়াতে বিভিন্ন বিএনপিএল বা ‘বাই নাউ, পে লেটার’ পরিষেবার দিকেও ঝুঁকছেন। সাইবার মানডেতে বিএনপিএলের মাধ্যমে রেকর্ড ৯৪ কোটি ডলার মূল্যের কেনাকাটা করা হয়েছে। এটি গত বছরের চেয়ে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।