বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ

চীনকে বাদ দিয়ে ভারতকে কাজ দিল শ্রীলঙ্কা

ভারত ও চীনের পতাকা
ভারত ও চীনের পতাকা

শ্রীলঙ্কায় তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেয়েছে ভারত। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চীনা কোম্পানিও দর প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত কাজ পেয়েছে ভারতীয় কোম্পানি।

ইকোনমিক টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দিল্লি সফর করেন। সেই সফরের পরই সিলোন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ভারতীয় কোম্পানিকে কাজ দিয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ভারতের ১ কোটি ২০ লাখ ডলার অনুদানের অর্থে নির্মিত হবে।

মিশ্র প্রকৃতির এই বিদ্যুৎ প্রকল্প জাফনার কাছাকাছি তিনটি দ্বীপে বাস্তবায়িত হবে।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কা সরকার চীনের কোম্পানি সাইনোসার-এটোচুইনকে এই মিশ্র প্রকৃতির নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ দেয়, তবে পরবর্তীকালে সেই দরপত্র বাতিল হয়ে যায়। ভারতীয় অনুদানের অর্থে নির্মাণের জন্য এ প্রকল্পের দরপত্র সম্প্রতি উন্মুক্ত করা হয়।

বিভিন্ন সূত্র ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কাছাকাছি চীনা কোম্পানির কাজের বিষয়ে নয়াদিল্লির আপত্তি ছিল। বিষয়টি নিয়ে তারা কলম্বোর সঙ্গে আলোচনাও করেছে। নয়াদিল্লি ও কলম্বোর মধ্যে এ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার যেসব প্রকল্প ভারতের কৌশলগত স্বার্থে প্রভাব ফেলবে, সেই সব প্রকল্প এবং গত বছর শ্রীলঙ্কার একটি বন্দরে চীনের গোয়েন্দা জাহাজের আগমন নিয়ে এ আলোচনা হয়েছে।

আগের প্রকল্প থেকে চীনা কোম্পানিকে বাদ দেওয়ার কারণে চীন-শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরেছে। ২০২১-২২ সময়ে কলম্বোয় অবস্থিত চীনের দূতাবাস এ বিষয়ে তৎকালীন গোতাবায়া রাজাপক্ষে সরকারের কাছে নিজেদের উদ্বেগ তুলে ধরে।

তৎকালীন জ্বালানিমন্ত্রী ডালুস আলফাপ্পেরুমা এই দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। সেই ঘটনার পর কলম্বোর চীনা দূতাবাস টুইটে জানায়, তৃতীয় পক্ষের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে এ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার জাতীয় গ্রিডকে সংযুক্ত করতে ভারত শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করছে। ভারতের আদানি গোষ্ঠী শ্রীলঙ্কায় ৩৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে।

রনিল বিক্রমাসিংহের দিল্লি সফরের সময় সিদ্ধান্ত হয়, ভারত ও শ্রীলঙ্কার উচ্চ ভোল্টেজের জাতীয় গ্রিডে সংযোগ স্থাপন করা হবে। সেটা হলে শ্রীলঙ্কা থেকে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও বিদ্যুৎ পাঠানো যাবে। এ ধরনের আন্তসংযোগের কারণে শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ হ্রাসের সঙ্গে এটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় খাত হতে পারে।