চীনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবার মুনাফা কমার খবরে পুঁজিবাজারে এটির শেয়ারদর কমে গেছে। গত মার্চে সমাপ্ত চতুর্থ ত্রৈমাসিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ৮৬ শতাংশ কমেছে। এই সংবাদের জেরে আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রি–মার্কেট লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ শতাংশ পড়ে গেছে।
আলোচ্য সময়ে আলিবাবার নিট আয় কমে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি চীনা ইউয়ানে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ কম। খবর সিএনবিসির।
আলিবাবার জন্য ২০২৩ সালটি বেশ কঠিন ছিল। কারণ, এই বছর কোম্পানিটি তার এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ করপোরেট কাঠামোগত সংশোধন করেছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনায়ও একাধিক পরিবর্তন ঘটেছে। যেমন কোম্পানির অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এডি উ গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শেয়ারহোল্ডারদের আস্থা বাড়াতে এই বছরের শুরুর দিকে আলিবাবা ঘোষণা করেছিল যে তারা শেয়ার বাইব্যাক বা পুনঃক্রয় কর্মসূচি ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বাড়িয়েছে। সে অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মার্চের মধ্যে তারা এই পরিমাণ অর্থের শেয়ার বাইব্যাক করবে।
ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ভোক্তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তা সত্ত্বেও গত মার্চ প্রান্তিকে আলিবাবার মূল ই-কমার্স ব্যবসায়ে কিছুটা পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা গেছে।
চীনের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ায় আলিবাবা তার বৈদেশিক ব্যবসা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে। কিন্তু পিডিডির মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে আলিবাবা। কারণ, ওই সব প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক কম দামে পণ্য সরবরাহ করছে।
চীনে আলিবাবার ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করে তাওবাও ও টিমল। এই দুটি বিভাগের রাজস্ব আয় গত ১ বছরে ৪ শতাংশ বেড়ে ৯৩ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৩২০ কোটি ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। এর আগের ত্রৈমাসিকে এই ব্যবসায়ের আয়ে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
গত এক বছরে আলিবাবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বা ব্যবসা ৪৫ শতাংশ বেড়ে ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৭৪০ কোটি ইউয়ানে উঠেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আলিবাবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এডি উ আরও বিনিয়োগের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার পুনরায় চাঙা করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মার্চ ত্রৈমাসিকের তথ্যে সেই লক্ষণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।