ওপেনএআই
ওপেনএআই

ওপেনএআইয়ের বাজারমূল্য এখন ৮ হাজার কোটি ডলার

নতুন এক চুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বাজারমূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি ডলার। তবে এই মূল্যায়ন নতুন বিনিয়োগের জন্য করা হয়নি, বরং এটা একধরনের দরপত্রের প্রস্তাব। এর বদৌলতে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ভেঞ্চার কোম্পানি থ্রাইভ ক্যাপিটালের নেতৃত্বে পরিচালিত এই তথাকথিত দরপত্রের মাধ্যমে এই কোম্পানি বিদ্যমান শেয়ার বিক্রি করতে পারবে।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে গত বছরও এ ধরনের চুক্তি হয়েছিল। তখন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি থ্রাইভ ক্যাপিটাল, সিকোইয়া ক্যাপিটাল, আন্দ্রেসেন হরোউইটজ এবং কে২ গ্লোবাল দরপত্রের ওপেনএআইয়ের শেয়ার কিনতে চেয়েছিল। সেবার অবশ্য ওপেনএআইয়ের দর নির্ধারণ করা হয়েছিল অনেক কম, মাত্র ২৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

২০২২ সালের শেষ ভাগে ওপেনএআইয়ের বদৌলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে রীতিমতো উন্মাদনা শুরু হয়। সে বছরের শেষ দিকে তারা চ্যাটজিপিটি বাজারে এনে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেয়। এরপরের বাস্তবতা হলো, সব প্রযুক্তি কোম্পানি এখন এআই গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। ২০২৩ সালে প্রযুক্তি খাতে যে বড় ধরনের ছাঁটাই হয়েছে, তার মূল কারণ এআই গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান চিপ কোম্পানি তৈরিতে অর্থায়ন জোগাড় করতে আলোচনা শুরু করছেন। এআই বিপ্লবের পালে হাওয়া লাগাতে চিপের বিকল্প নেই বলে।

প্রযুক্তি খাতে ২০২৩ সালে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় ছিল এআই। অ্যালফাবেট, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন ও মেটার মতো বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এআই দক্ষতা বাড়াতে হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। মেটার প্রধান নির্বাহী (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ ২০২৩ সালকে ‘দক্ষতার বছর’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

তবে একই সঙ্গে গত বছর প্রযুক্তি খাত রেকর্ডসংখ্যক চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘটনাও প্রত্যক্ষ করেছে। নতুন বছরেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে চাকরি ছাঁটাইয়ের নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অন্তত গুগল ও অ্যামাজনের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সাম্প্রতিক কর্মী ছাঁটাই সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।