কর্মীদের ৫০ কোটি ডলার দেয়নি টুইটার, মামলায় দাবি

টুইটার
টুইটার

ইলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোম্পানিটি ব্যয় কমানোর জন্য হাজার হাজার কর্মী বরখাস্ত করে। গত বুধবার আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল আদালতে টুইটারের বিরুদ্ধে ‘ক্লাস অ্যাকশন’ অভিযোগে মামলা করেন প্রাক্তন টুইটার কর্মচারী কোর্টনি ম্যাকমিলান।

সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক ও তাঁর কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করার সময় কোম্পানির নীতি লঙ্ঘন করেছে। কর্মীদের প্রাপ্য হিসেবে ৫০ কোটি ডলার দিতে অস্বীকার করেছে টুইটার। খবর রয়টার্সের।

গত বছরের অক্টোবরে মাস্ক কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করার পর টুইটার অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে।

ম্যাকমিলানের দাবি, টুইটার ২০১৯ সালে কর্মী ছাঁটাই নীতি প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করা হলে তাঁদের দুই মাসের মূল বেতনসহ প্রতি কর্মবছরের বিপরীতে এক সপ্তাহের বেতন দেওয়া হবে।

মামলার বিবরণে আরও বলা হয়েছে, ম্যাকমিলানের মতো জ্যেষ্ঠ কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হলে ছয় মাসের মূল বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু ছাঁটাই করা কর্মীদের সর্বাধিক এক মাসের বেতন দিয়ে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন ম্যাকমিলান। তবে তাঁদের মধ্যে অনেককে কিছুই না দিয়ে ছাঁটাই করা হয়েছে।

কর্মীদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে ফেডারেল আইনে টুইটার ও মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। টুইটার ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বকেয়া অর্থ দিতে পারেনি—এ অভিযোগে এর আগেই টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে সেই মামলা হয়েছে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে, কর্মীদের সুবিধাজনিত আইন ভঙ্গের কারণে নয়। যদিও টুইটার বলছে, পুরোনো কর্মীদের শতভাগ পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।

এদিকে গত মাসে বর্তমান কর্মীদের লাখ লাখ ডলার সমপরিমাণ বোনাস না দেওয়ার অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, যদিও এ দাবির সত্যতা নেই বলে দাবি করেছে টুইটার।

গত বছর টুইটারের বিরুদ্ধে কর্মী ছাঁটাই–বিষয়ক বেশ কিছু মামলা হয়েছে। আরও অভিযোগ হলো, টুইটার নারী ও প্রতিবন্ধী কর্মীদের বেশি ছাঁটাই করছে, যদিও টুইটার এসব বিষয় অস্বীকার করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

এদিকে বর্তমানে টুইটারের মিডিয়া সম্পর্ক বিভাগ নেই। ফলে সংস্থাটির সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টুইটার পুপের ইমোজি দিয়ে জবাব দেয়।