ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান থেকে আলু ও সুতা ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানি করা যাবে। ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের আওতায় বিনা মাশুলে আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত দিয়ে এই প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী দেশটির সব পণ্য আমদানির অনুমতি মিলল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল বুধবার আমদানিযোগ্য ভুটানি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে।
আখাউড়া শুল্ক স্টেশনের পরিদর্শক নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের আওতায় ভারতের পথ ব্যবহার করে ভুটান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পথ ব্যবহার করে তাদের পণ্য এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে নিয়ে গেছে, একইভাবে ভুটানের পণ্য ভারতের পথ ব্যবহার করে বিনা মাশুলে বাংলাদেশে আমদানি করা হবে।
‘ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য আমদানির অনুমতিতে আমরা আনন্দিত। তবে এখনই ভুটানের পণ্য আমদানি করা হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভুটানের পণ্য আসাম হয়ে ত্রিপুরার ভেতর দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি করা হবে। এর আগে আমরা ভুটানের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে খোঁজ নেব। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খুলব।’শফিকুল ইসলাম, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক
দীর্ঘদিন ধরে আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত দিয়ে শুধু ভারতের ৪১ ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন রয়েছে। তবে গতকাল এনবিআরের প্রকাশিত তালিকায় আমদানিযোগ্য ভারতীয় পণ্যের তালিকায় আরও ১৫টি নতুন পণ্য যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: টমেটো, মেথি, শুকনাসহ সব ধরনের খৈল, শুকনা বরই, ফ্লাই অ্যাশ, ফায়ার ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, শর্ষে, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট (আয়রন/স্টিল) ও গ্রানাইট স্ল্যাব।
এদিকে এনবিআর ভুটান থেকে সব পণ্য আমদানির অনুমোদন দেওয়ায় বেজায় খুশি আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, এর ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি বাণিজ্য চাঙা হবে।
এনবিআরের তালিকা অনুযায়ী ভুটান থেকে সুতা ও আলু ব্যতীত যেসব পণ্য আমদানি করা যাবে: গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, চাল, গম, পাথর (স্টোন অ্যান্ড বোল্ডার্স), কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টজ, শুঁটকি মাছ, সাতকরা, আগরবাতি, জিরা, রাবার, মেইজ, স্টোন বোল্ডার, সয়াবিন বীজ, বাঁশের পণ্য, অর্জুন ফ্লাওয়ার (ব্রোম), পান, সিএনজি স্পেয়ার পার্টস, কাজুবাদাম, কাগজ, চিনি, জেনারেটর, ভাঙা কাচ, চকলেট, বেবি ওয়াইপার, কনফেকশনারি দ্রব্যাদি, বিটুমিন, পান, টমেটো, মেথি, শুকনা তেঁতুল, শুকনা ফুল, ফ্লাই অ্যাশ, সব ধরনের খৈল, ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, শর্ষে, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট (আয়রন/স্টিল) ও গ্রানাইট স্ল্যাব।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য আমদানির অনুমতিতে আমরা আনন্দিত। তবে এখনই ভুটানের পণ্য আমদানি করা হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভুটানের পণ্য আসাম হয়ে ত্রিপুরার ভেতর দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি করা হবে। এর আগে আমরা ভুটানের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে খোঁজ নেব। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খুলব।’