পেঁয়াজ
পেঁয়াজ

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ছয় মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। আজ শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে বলা হয়েছে, ডিজিএফটি পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার। সরকারের এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গত মার্চ মাসের শেষ দিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। তখন বিশ্লেষকেরা বলেছিলেন, চলমান লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের বাজারে যেন পেঁয়াজের দাম না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই দেশটির সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল।

এই খবরে ভারতের মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষিরা স্বস্তি পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি হলো, ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয় মহারাষ্ট্রে। জানা যায়, এপ্রিল মাসে ওই রাজ্যের কিছু পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের দাম ১ হাজার ২০০ রুপিতে নেমে আসে; গত ডিসেম্বর মাসে যে দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ রুপি। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই মহারাষ্ট্রের চাষিরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিলেন। ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের পক্ষে ছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পেঁয়াজ রপ্তানি একেবারে বন্ধ করেনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে প্রায় এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় তারা। বাকি পাঁচটি দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।

ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। গত ডিসেম্বরে তারা প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়।

বাংলাদেশ যত পেঁয়াজ আমদানি করে, তার সিংহভাগই আসে ভারত থেকে। ভারতের পেঁয়াজ না আসায় দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।