বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানির টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ককে ছাড়িয়ে বিশ্বের সেরা ধনী এখন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট। গতকাল রোববার বিকেলে তিনি ইলন মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।
আজ সোমবার এই প্রতিবেদন লেখার সময় বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদমূল্য ২০৭ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ৭২০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য ২০৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ৪২০ কোটি ডলার। তৃতীয় অবস্থানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস; তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ১৮১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। ফোর্বসের সূত্রে হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
গত শুক্রবার আর্নল্ট পরিবারের মোট সম্পদমূল্য বাড়ে ২৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার। একই দিনে দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য কমেছে ১৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা নয়জনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ১১তম স্থানে আছেন ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানি, অর্থাৎ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি ডলার।
এদিকে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অবশ্য ভিন্ন কথা বলছে। এই তালিকায় এখনো বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক; তাঁর সম্পদমূল্য ১৯৯ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
বার্নার্ড আর্নল্ট বৈশ্বিক বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচ বা লুই ভুটনের প্রধান নির্বাহী। সম্পদের দিক থেকে তিনি শীর্ষ সারির হলেও অন্যান্য ধনকুবেরের মতো তিনি অতটা পরিচিত নন। অঢেল সম্পদের মালিক হলেও অনেকটা আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন আর্নল্ট। তাই জেফ বেজোস, বিল গেটস, গৌতম আদানি কিংবা ইলন মাস্ককে একনামে সবাই যেভাবে চেনেন, বার্নার্ড আর্নল্টকে সেভাবে হয়তো চেনেন না অনেকেই। তা সত্ত্বেও ধনীদের তালিকায় বেশ কয়েকবার তিনি শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছেন। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্বীকৃতি পান।
১৯৮৭ সালে লুই ভুটন ও মোয়েট হেনেসি নিয়ে এলভিএমএইচ গ্রুপ গঠিত হওয়ার বছর দুয়েক পর ১৯৮৯ সালে আর্নল্ট এই কোম্পানির শেয়ারের উল্লেখযোগ্য অংশ কিনে নেন। তখন থেকেই তিনি এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে বার্নার্ড আর্নল্ট এলভিএমএইচকে বিলাসবহুল শৌখিন পণ্যের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত করেছেন। শ্যাম্পেইন, ওয়াইন, ফ্যাশনেবল পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ঘড়ি, গয়না, প্রসাধনী ও পারফিউম–পণ্যের বিরাট সম্ভার আছে এলভিএমএইচের। বর্তমানে সারা বিশ্বে এলভিএমএইচের সাড়ে পাঁচ হাজার শাখা আছে।
ধনীদের তালিকায় প্রায়ই পরিবর্তন আসে। সম্পদমূল্যের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয় বলে শেয়ারের দাম এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। শেয়ারের দাম কমলে ধনীদের সম্পদমূল্য কমে, বাড়লে সম্পদমূল্য বেড়ে যায়।