অ্যামাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, অনলাইন খুচরা বিক্রয় ও ক্লাউড সেবার ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার প্রায় ২০০ কোটি ডলারে বিক্রি করেছেন বেজোস। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অ্যামাজনের পাঠানো এক চিঠির সূত্রে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
চিঠির সূত্রে রয়টার্স আরও জানায়, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেফ বেজোস অ্যামাজনের ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারেন।
গত বছরের শেষ দিকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে এই শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করেন বেজোস। অ্যামাজনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শেয়ার বিক্রয়ের কাজ ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা।
২০২১ সালে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জেফ বেজোস নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে অন্যতম জেফ বেজোস বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, বর্তমানে তাঁর সম্পদের মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে ওয়ারেন বাফেট ও বিল গেটসের দান-খয়রাতের উজ্জ্বল ইতিহাস থাকলেও বেজোস এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। তবে ২০২২ সালের শেষ দিকে তিনি বেশির ভাগ সম্পদ দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বড় দানের মধ্যে তিনি ‘বেজোস আর্থ ফান্ডে’ এক হাজার কোটি ডলার দান করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০ সালে সংস্থাটি যাত্রা শুরু করে।
দ্য গিভিং প্লেজে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন জেফ বেজোস। দ্য গিভিং প্লেজ একধরনের প্রচারাভিযান, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের দান করা অর্থে মানবিক কাজ পরিচালনার লক্ষ্যে এটি গঠিত হয়েছে।
শেয়ার বিক্রির অর্থ দিয়ে বেজোস কী করবেন, সে বিষয়ে রয়টার্সের সংবাদে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কট গত বছর কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি অ্যামাজনের ৬ কোটি ৫৩ লাখ শেয়ার বিক্রি করেন। বর্তমান বাজারদরে এই শেয়ারের মূল্য এক হাজার কোটি ডলার।