অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ধনী অ্যান্ড্রু ফরেস্ট যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ফরেস্ট ও তাঁর স্ত্রী এ তহবিলে ৫০ কোটি ডলার দেবেন বলে জানিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে এই তহবিলে তাঁরা ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার জোগাড় করতে পারবেন বলে আশা করছেন। খবর বিবিসির
তবে তহবিল ব্যবস্থাপকদের আশা, এই তহবিলে শেষমেশ ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার উঠবে। ইউক্রেনের গ্রিন গ্রোথ ইনিশিয়েটিভ এই তহবিলের অর্থ প্রাথমিকভাবে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে বড় বিনিয়োগ যাবে জ্বালানি খাত ও টেলিকম নেটওয়ার্ক পুনর্গঠনে।
স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া আমাদের যে অবকাঠামো ধ্বংস করেছে, তার বদলে এখন আমরা আরও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল অবকাঠামো পাব, এটাই আমাদের প্রাপ্তি।’
তবে অস্ট্রেলিয়ান শীর্ষ ধনী অ্যান্ড্রু ফরেস্টের এ উদ্যোগ নতুন নয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুর দিকে তিনি এ বিষয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলাপ শুরু করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর সেই উদ্যোগ এত দিনে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।
এদিকে রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। সম্প্রতি রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। জুলাই মাসে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিশ শিমহাল বলেছিলেন, প্রত্যক্ষভাবে ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের অবকাঠামো ধ্বংস হলেও দেশের পুনর্গঠনে সাড়ে ৭০০ বিলিয়ন বা ৭০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাশিয়াকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানালে তারা ক্রুদ্ধভাবে তা প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে, যদিও এই প্রস্তাবের বাধ্যবাধকতা নেই। আর রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমারা রিজার্ভের অর্থ জব্দ করে ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারে ব্যয় করবে, সেটা তারা হতে দেবে না।