বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবার কিছুটা বেড়েছে
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবার কিছুটা বেড়েছে

আবার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নিজে থেকে যে দৈনিক ২২ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই খবরে আজ সোমবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৩ দশমিক ৮৩ ডলারে উঠেছে। একই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সেস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ১৭ ডলারে উঠেছে।

ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর এই অবস্থান অবশ্য অপ্রত্যাশিত ছিল না। ভূরাজনীতিতে নানা ধরনের ঘাত–প্রতিঘাতের মধ্যেও তেলের দাম তেমন একটা বাড়ছিল না। সে জন্য বাজারের ধারণা ছিল, দাম বাড়াতে ওপেক এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে।

একই সঙ্গে ওপেকের সদস্য নয়—এমন তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার এক ঘোষণায় বিশ্লেষকেরা বিস্মিত হয়েছেন। রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে উৎপাদন ও রপ্তানি দৈনিক আরও ৪ লাখ ৭১ হাজার ব্যারেল কমানো হবে।

আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান এএনজেডের বিশ্লেষকেরা সোমবার এক নোটে বলেছেন, তেলের বাজারে একধরনের টানটান ভাব আছে, এর জেরে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সঙ্গে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো যেভাবে তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ কমাচ্ছে, তাতে বাজারে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও লোহিত সাগরের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জেরে চলতি বছর বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে, যদিও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা থাকার কারণে দাম খুব একটা বাড়ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস রোববার ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন অনতিবিলম্বে ছয় মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরায়েলের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াশিংটন শিগগিরই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে তৎপরতা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেছেন, ইসরায়েল এ বিষয়ে কাঠামোগত চুক্তিতে একমত হয়েছে।