রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো রাশিয়ার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে; কিন্তু বাস্তবতা হলো, রাশিয়া থেকে পণ্য কেনা বাড়িয়েছে ইইউর দেশগুলো। চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার কৌশলগত উন্নয়ন ও জাতীয় প্রকল্পের কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। খবর দ্য রাশিয়া টুডের (আরটি)
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ইইউতে রাশিয়ার মৌলিক পণ্য সরবরাহ দেড় গুণ বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে ইইউতে রাশিয়ার পণ্য রপ্তানি ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাশিয়ার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২ দশমিক ৩ গুণ বেড়ে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অনেক নিষেধাজ্ঞা দিলেও ইউরোপীয় দেশগুলো চলতি বছর রাশিয়ার পণ্য আমদানি বাড়িয়েছে। বিপরীতে রাশিয়াকে নিজস্ব পণ্য সরবরাহে বাধা দিয়ে যাচ্ছে তারা।
এ পরিস্থিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন। সে জন্য রাশিয়া নতুন অংশীদার খুঁজে নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে রাশিয়ার সামগ্রিক শস্য রপ্তানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুতিন। তিনি জানান, ২০২২ সাল শেষে রাশিয়ার শস্য রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫ কোটি টন। চলতি বছরের শেষ কয়েক দিনে ৪০-৫০ লাখ টন শস্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এ ছাড়া রাশিয়ার খনিজ সার রপ্তানি ইতিমধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টন ছাড়িয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর বাণিজ্যে মার্কিন ডলার শিগগিরই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। কারণ, সদস্যরাষ্ট্রগুলো পারস্পরিক লেনদেনে মার্কিন ডলারের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে ইউরেশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্যে মুদ্রা হিসেবে আর হয়তো ডলারের তেমন গুরুত্ব থাকবে না।
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ছাড়াও আছে কাজাখস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তান। ২০১৫ সালে এই জোট প্রতিষ্ঠিত হয়।