নির্বাচনে বিজয়ী হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর গাড়ি আমদানিতে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে এই ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর রয়টার্স।
এর আগে আরেক ঘোষণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমদানি করা গাড়ি ও ট্রাকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। দেশীয় গাড়িশিল্পকে উৎসাহিত করতে তিনি এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
অর্থনীতির ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত সুরক্ষাবাদী হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দেশীয় শিল্প পুনরুদ্ধারে তিনি চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে বিপুল পরিমাণে শুল্ক আরোপ করেন। রীতিমতো চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে দেন তিনি। এরপর শুরু করেন প্রযুক্তিযুদ্ধ। ২০২০ সালে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র সেই নীতি থেকে সরে আসেনি। সম্প্রতি চীনে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি করেছে জো বাইডেন প্রশাসন।
মেক্সিকোর গাড়িতে শুল্ক আরোপের বিষয়টি চলতি সপ্তাহে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের জুনাউ বিমানবন্দরের নির্বাচনী সমাবেশে ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। ওই সব (আমদানি করা) গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে দিতে পারি না।’
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ লাখ গাড়ি রপ্তানি করেছে মেক্সিকো। এর প্রায় অর্ধেক জেনারেল মোটরস, ফোর্ড মোটর কোম্পানি ও স্টেলান্টিসের মতো শীর্ষ কোম্পানিগুলোর গাড়ি; যদিও এগুলো মার্কিন কোম্পানি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ট্যাক্স পলিসি সেন্টার বলেছে, মেক্সিকো থেকে আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করা হলে শুধু যে আমদানিক করা গাড়ির দাম বাড়বে তা নয়, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত গাড়িরও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা আছে।
মেক্সিকোর বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই সোচ্চার। এর আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন মেক্সিকোর অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করেছিলেন তিনি, যদিও পরবর্তীকালে তার একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
ক্ষমতার থাকায় সময় ট্রাম্প বলতেন, মুক্ত বাণিজ্যকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে, যদি তা বৈষম্যহীন এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হয়। সেটা নিশ্চিত করতে সবাইকে একই রকম নীতি অনুসরণ করতে হবে।