চীনের জাতীয় পতাকা
চীনের জাতীয় পতাকা

চীনে বাড়ি বিক্রি বেড়েছে, প্রণোদনায় কাজ হচ্ছে

চীনে আবাসন ব্যবসা কিছুটা চাঙা হয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে যে জাতীয় দিবসের ছুটি গেল, সেই সময় দেশটির আবাসন বাজারে কেনাবেচার গতি বেড়েছে। চীন সরকার অর্থনীতি চাঙা করতে সম্প্রতি যে প্রণোদনা দিয়েছে, সে কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, চলতি বছর চীনের আবাসন বাজারে প্রণোদনা দিতে বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেমন এককালীন প্রদেয় অর্থের পরিমাণ কমানো ও বন্ধকি ঋণের সুদহার কমানো। এসব নীতিগত পদক্ষেপের কারণে চীনের আবাসন বাজারে গতি এসেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীনের সপ্তাহব্যাপী জাতীয় দিবসের ছুটির মধ্যে মানুষের বাড়ি দেখার পরিমাণ বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, মানুষের মধ্যে বাড়ি কেনার আগ্রহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বাড়ি কেনাবেচাও বেড়েছে, যদিও সবখানে একই হারে যে বেড়েছে, তা নয়।

সিসিটিভির সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, আবাসন বাজার চাঙা করতে ৫০টি বেশি শহরে বিশেষ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। সহস্রাধিক আবাসন কোম্পানি এই জাতীয় দিবসের ছুটির প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।

দেখা গেছে, এবারের প্রচারণায় বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষের অংশগ্রহণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শেনঝেন শহরের প্রচারণায় আবাসন কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে অনেক রাত পর্যন্ত কার্যালয় খুলে রেখেছিল। বেচাকেনা যেমন বেড়েছে, তেমনি মানুষের আনাগোনাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি অনেক গ্রাহক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসব প্রকল্প দেখতে এসেছে।

গত মাসে চীনের গুয়ানডং প্রদেশের গুয়াংঝু শহরে বাড়ি কেনার ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। সাংহাই ও শেনঝেন শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, এসব শহরে অন্যান্য শহরের মানুষের আবাসন কেনায় যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা শিথিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আবাসন কেনার জন্য যে এককালীন অর্থ দিতে হয়, তা–ও কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিশাল প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে চীন। প্রায় এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ইউয়ানের এই প্রণোদনা মহামারি কোভিড-১৯-এর পর সবচেয়ে বড়। আবাসন খাতের দীর্ঘস্থায়ী ঋণসংকট, অব্যাহত মন্দার চাপ ও তরুণদের বেকারত্ব হ্রাসে এই প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।