বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেট ২০২৪ সালে কেবল লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন ৬০০ কোটি ডলার। বিখ্যাত এই ধনী সব সময় দীর্ঘমেয়াদি মুনাফায় নজর দিয়েছেন সারা জীবন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেগুলো সব সময় ভালো ফল দিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই দানবীর, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী বর্তমানে বার্কশায়ার হাথাওয়ের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন বাফেট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চমৎকার মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। এর বদৌলতে তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রখ্যাত বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় কোকাকোলায় ওয়ারেন বাফেটের শেয়ার আছে ৪০ কোটি। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। কোকাকোলা থেকেই ২০২৪ সালে তাঁর ৭৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার লভ্যাংশ পাওয়ার কথা। চলতি বছর ইতিমধ্যে কোকাকোলার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মুনাফা হয়েছে।
অন্যদিকে তেল ও গ্যাস খাতের বড় কোম্পানি শেভরন থেকে ওয়ারেন বাফেট চলতি বছর ৮২ কোটি ডলার লভ্যাংশ পাবেন। শেভরনের ১২ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার রয়েছে বাফেটের, যার বর্তমান মূল্যমান ২ হাজার ৫০ কোটি ডলার। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে শেভরনের আয়ের ৪ শতাংশ পাবেন তিনি।
এ ছাড়া ২০২৪ সালে প্যাকেটজাত খাদ্য কোম্পানি ক্রাফট হেইঞ্জ থেকে ওয়ারেন বাফেট ৫২ কোটি ডলার লভ্যাংশ পাবেন। যেসব কোম্পানি থেকে তিনি বেশি লভ্যাংশ পান, এটি তার মধ্যে অন্যতম। এই কোম্পানিতে তাঁর ৩২ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের শেয়ার আছে। এই কোম্পানিতে বিনিয়োগের পর ওয়ারেন বাফেটের কোম্পানির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ মুনাফা হয়েছে।
বার্কশায়ার হাথাওয়ের বর্তমান মূল্য ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার মনে করা হয়।
ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী। কেউ কেউ বলেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। বাফেট যেখানে বিনিয়োগ করেন আর যেভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান, তা রীতিমতো আদর্শজ্ঞানে অনুসরণ করা হয়। বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি কিংবদন্তিতুল্য আর ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম শ্রেণির।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যানুসারে, আজ এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাফেটের সম্পদমূল্য ছিল ১৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১৩ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজেটের দ্বিগুণের বেশি।