জ্বালানি তেল
জ্বালানি তেল

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে কিছুটা

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ সকালে পশ্চিমা বিশ্বে বড়দিনের ছুটির মধ্যে এই দাম বাড়ার কারণ হলো, বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ অর্থনীতি চাঙা করতে আরও প্রণোদনা দেবে এবং পরিণামে তেলের চাহিদা বাড়বে, এই আশা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ভান্ডারের মজুত কমেছে—এই খবরেও বাজার চাঙা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বা ১১ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৩ দশমিক ৬৯ ডলারে উঠেছে। সেই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বা ১৫ সেন্ট বেড়ে ৭০ দশমিক ২৫ ডলারে উঠেছে।

ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীন নতুন বছরে বেশ কিছু উদ্যোগ নেবে বলে জানা গেছে। পেনশন ও স্বাস্থ্যবিমা বাবদ ভর্তুকি বৃদ্ধি করবে তারা। সেই সঙ্গে অর্থনীতি চাঙা করতে ৪১১ বিলিয়ন বা ৪১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের ট্রেজারি বন্ড ছাড়বে দেশটি। এসব কারণে বাজার মনে করছে, আগামী বছর চীনের তেলের চাহিদা বাড়বে।

আন্তর্জাতিক বাজার–বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, চীন যে প্রণোদনা দেবে বলে জানিয়েছে, তার বলে বাজার বলীয়ান হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়টি অতটা বাধার মুখে পড়বে না, এই ধারণা থেকেও বাজারে চাঙাভাব এসেছে।

এদিকে রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ২০ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত তেলভান্ডারের মজুত ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন বা ১৯ লাখ ব্যারেল কমেছে। সেই সঙ্গে গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেটের মজুত কমেছে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন বা ১১ লাখ ব্যারেল ও শূন্য দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ৩ লাখ ব্যারেল যথাক্রমে।

তবে আগামী বছর জ্বালানি তেলের দাম তেমন একটা বাড়বে না বলে মনে করে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যান। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আগামী বছর আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। প্রতিবেদনে তারা বলেছে, আগামী বছরে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে।

জেপি মরগ্যান মনে করছে, আগামী এক বছরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামা করতে পারে। প্রতিবেদনে জ্বালানি তেলের বাজারে বিদ্যমান অস্থিরতার জন্য পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাকে দায়ী করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, এই উত্তেজনা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তারা এই পরিস্থিতির রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করবে।