এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী বলে আখ্যা দিয়েছেন টেসলার প্রধান ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। বিভিন্ন সময় নিজের খামখেয়ালির জন্য আলোচনায় এসেছেন ইলন মাস্ক। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজেকে ভিনগ্রহের প্রাণী বলে দাবি করেছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত ভিভা টেকের এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ইলন মাস্ককে বলেন, ‘আপনার অপার্থিব অস্তিত্ব নিয়ে বাজারে অনেক গুজব আছে।’ উত্তরে হাসতে হাসতে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আমি ভিনগ্রহের প্রাণী, এ কথা আমি বরাবর বলে আসছি; কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।’ সাক্ষাৎকারে মাস্ক আরও বলেন, ভিনগ্রহের জীবনসংক্রান্ত কোনো প্রমাণ পেলে তিনি অবশ্যই সামাজিক মাধ্যম এক্সে তা প্রকাশ করবেন
ইলন মাস্ক আরও বলেন, ‘হতে পারে এই ছায়াপথে আমরা একাই আছি; হয়তো কেবল আমরাই আছি আর আমাদের চেতনা অত্যন্ত ভঙ্গুর।’
অনুষ্ঠানে মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন নিয়েও কথা বলেন ইলন মাস্ক। বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে প্রথম মানুষের পদচিহ্ন পড়বে; হয়তো সাত-আট বছরের মধ্যেও তা হতে পারে। স্পেসএক্সের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হলো, একাধিক গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন। আমাদের একাধিক গ্রহবাসী হয়ে টেকসই সত্যতা নির্মাণ করতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এমন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই সম্ভাবনা হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’
এই সাক্ষাৎকারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন ইলন মাস্ক। বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অনেক ক্ষেত্রে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে সঠিক বা মন রাখার মতো বুলি শেখানো হচ্ছে। তাঁর মতে, এটি অনুচিত। রাজনৈতিক সঠিকতা অনেক ক্ষেত্রেই অসত্য। এর অর্থ হলো, এআইকে মিথ্যা বলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ অর্থাৎ মন রাখার মতো কথা বলানো হলে সে মিথ্যাটাই শিখবে বলে তাঁর আশঙ্কা। এতে উল্টো ফল হবে বলে তাঁর আশঙ্কা।
এআইয়ের কারণে মানুষের চাকরি চলে যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, তিনি এমন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে মানুষ কোনো কাজ করবে না। তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভবত সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতিতে এমন হবে যে আমাদের কারও হাতেই কাজ থাকবে না।’
টেসলা প্রধান আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে সামগ্রিকভাবে আমি খুশি, সম্ভবত আমি নিজেও কোনো কাজ করব না। আপনিও জানেন না, এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হবে কি না। আমি তো নিজের তরুণ রূপ দেখতে চাইব; কিন্তু আমি সম্ভবত অদৃশ্য থেকে কোনো কথা বলব না।’