সেপ্টেম্বরের মধ্যে অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটির কোভিড–১৯ রোগের ২ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে চায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই লক্ষ্যে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদন শুরু করে দেবে তারা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি অনেক বিদেশি সংস্থার মতো পুনের এই সংস্থাটিকে উৎপাদন প্রকল্পের অংশীদার বানিয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার মানব দেহে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হয় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির কোভিড–১৯–এর ভ্যাকসিন। অক্সফোর্ডের এই গবেষণায় সাতটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত। এর মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট রয়েছে। অক্সফোর্ডের ট্রায়ালের পর তারা এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের এক ডোজের দাম ১ হাজার রুপি নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা বলেন, মে মাসের মধ্যে ভারতে আক্রান্ত কয়েক শ ব্যক্তির ওপর এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দেওয়া হবে। ট্রায়াল সফল হলে সেপ্টেম্বর–অক্টোবর নাগাদ বাজারে আনা হবে ভ্যাকসিন। আমরা ভ্যাকসিনটি একটি সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছি। এটি ১০০০ রুপির মতো, যা আমাদের উৎপাদনের খরচ।
পুনাওয়ালা মনে করেন, বৈশ্বিক বাজারের চেয়ে ভারতে দাম কমই ধরা হবে। কারণ এমনিতেই হাম, বসন্ত এসব রোগের ভ্যাকসিনের দাম ভারতে অনেক কম। যুক্তরাজ্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ কম।
পুনাওয়ালা বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে ট্রায়াল শেষ হবে, এরপর আমরা উৎপাদনে যাব—এত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় না। এই সিদ্ধান্ত নিজেদের ঝুঁকি ও ব্যয়ে আমরা নিচ্ছি। একদম এককভাবে উৎপাদনের জন্য নেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ছয় মাস মাসে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন তৈরি করার। ট্রায়ালের সফলতার ওপর ভিত্তি করে আমরা মাসে ১ কোটি পর্যন্ত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। তবে সেপ্টেম্বর–অক্টোবর নাগাদ ২ কোটি থেকে ৪ কোটি ভ্যাকসিন আনতে পারব আমরা। যদি এই ভ্যাকসিন সফল হয়, তাহলে ভারতসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশের জন্য আমরা এই ভ্যাকসিন তৈরি করব।’
করোনাভাইরাসের টিকার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে সারা বিশ্ব। গত বৃহস্পতিবার মানব দেহে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির কোভিড–১৯–এর ভ্যাকসিন। অক্সফোর্ডের এই গবেষণায় বিশ্বের যে সাতটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত, এর মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট রয়েছে।