যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম কোম্পানি হিসেবে এক ট্রিলিয়ন ডলারের (১ ট্রিলিয়ন= ১ লাখ কোটি) মাইলফলক ছাড়িয়েছে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। গতকাল সোমবার ইলন মাস্কের এই কোম্পানির শেয়ারের দর ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
মূলত মার্কিন গাড়িভাড়া কোম্পানি হার্টজের কাছে এক লাখ গাড়ি বিক্রি করার চুক্তি কারণে তরতর করে বাড়ে টেসলার শেয়ারের দর। আর এতে কোম্পানিটির বাজারমূল্য ছাড়িয়ে গেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার। বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে হার্টজের সঙ্গে এই চুক্তি বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ চুক্তি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, আমাজন ও গুগলের অ্যালফাবেট এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য ছাড়ায়। এ ছাড়া বিশ্বের আরেকটি এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ানো কোম্পানি হলো সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো।
বছরের পর বছর ধরে টেসলা তার গাড়ির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে গেছে। অনেকেই মনে করতেন সফল হবে না টেসলা। তবে গত বছর বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের নেতৃত্বে কোম্পানিটি উন্নতি করা শুরু করে ও প্রথমবারের মতো লাভজনক হয়ে ওঠে।
হার্টজ পরবর্তী ১৪ মাসে থ্রিএস মডেলের ১ লাখ গাড়ির জন্য ৪২০ কোটি ডলার প্রদান করবে। ভাড়া সংস্থাটি চার্জিং স্টেশনগুলোর একটি নেটওয়ার্কও তৈরি করবে।
অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট ও ফেসবুকের সঙ্গে এখন নাম লেখাল টেসলা। আমাজন পাবলিক কোম্পানি হওয়ার ২৩ বছর পর গত বছরের জানুয়ারিতে এই অভিজাত ক্লাবে যোগ দেয়। সেই হিসাবে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি মাত্র ১১ বছর সময় নিয়েছে। সেই মাইলফলক ছাড়ানো গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রথম কোম্পানি। টেসলা এখন ভক্সওয়াগন, টয়োটাসহ বিশ্বের নয়টি বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতার সম্মিলিত বাজারের মূল্যের সমান। অবশ্য বৈশ্বিক গাড়ি বিক্রিতে টেসলার হিস্যা ১ শতাংশের কম।
২০২০ সালে ৫ লাখ গাড়ি উৎপাদন করেছিল টেসলা। যা কিনা ভক্সওয়াগন, টয়োটার চেয়ে অনেক কম। ২০২০ সালে ভক্সওয়াগন ৯৩ লাখ গাড়ি উৎপাদন করে। অন্যদিকে টয়োটা করে ৭২ লাখ। তবে বিক্রির প্রবৃদ্ধি ৫০ শতাংশে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে টেসলা। সেই সঙ্গে বছরে দুই কোটি গাড়ি উৎপাদন করার লক্ষ্য রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হলেন ইলন মাস্ক।