দ্বিতীয় প্রান্তিকে যে শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল, সেখান থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাতে আগামী নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোয়বারো হবে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে বার্ষিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি সংকোচন হয়েছিল ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ—১৯৪৭ সালে প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির হিসাব শুরু হওয়ার পর এটাই এক প্রান্তিকের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বলে জানা গেছে।
একটি প্রান্তিকের প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনা না করে বার্ষিক হিসাবে তা প্রকাশ করার কারণ হলো এই অনুমান যে এক প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির ধারা পরবর্তী প্রান্তিকেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু অনিশ্চয়তার সময় এই হিসাবের চেয়ে প্রকৃত হিসাব প্রকাশ করাই শ্রেয় মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা। এই প্রান্তিকের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এই হিসাবে তার আগের প্রান্তিকে সংকোচন হয়েছিল ৯ শতাংশ।
তবে নিশ্চিতভাবেই তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক তৎপরতা অনেকটা বেড়েছে। লকডাউনের পর অন্যান্য দেশের মতো তারাও সবকিছু খুলে দেয়। তবে অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুর্দশা শেষ হয়েছে, এমন মনে করার কারণ নেই। দ্বিতীয় প্রান্তিকের সংকোচনের চেয়ে তৃতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হলেও অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ায়নি বলেই অর্থনীতিবিদদের অভিমত।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মহামারিজনিত মন্দা শুরু হয়েছে। মন্দা কেটে গেছে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ব্যাপারটা হলো দ্বিতীয় প্রান্তিকের সংকোচন এত বেশি ছিল যে তৃতীয় প্রান্তিকের ভিত্তি ছিল অনেকটা নিচের দিকে। মহামারি শুরু হওয়ার আগের প্রান্তিকের সঙ্গে এর তুলনা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। সেটা হলো মার্কিন অর্থনীতি এখনো সেই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ছোট।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মহামারিজনিত মন্দা শুরু হয়েছে। মন্দা কেটে গেছে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এদিকে বছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকের প্রথম মাস কেটে গেছে। এর সঙ্গে বাড়ছে কোভিডের প্রকোপ। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক তৎপরতার গতি আবার কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।