মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ খরচের বহর কমানোর চেষ্টা করছে। দেশটির সুপারমার্কেটগুলোও বুঝেছে, এই পরিস্থিতিতে কিছু করতে হবে, তা না হলে কেনাবেচা শিকেয় উঠবে।
এই বাস্তবতায় যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেট অ্যাসডা জানিয়েছে, তারা ১০০টি পণ্যের দাম কমানো অথবা স্থিতিশীল রাখতে প্রায় ৭৩ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করবে। তাজা ফলমূল, সবজি, মাংস, ভাত ও নুডলসের দাম কমাবে বলে জানিয়েছে অ্যাসডা। অন্যদিকে ৫০০ পণ্যের মূল্য হ্রাস করবে মরিসন।
সম্প্রতি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও করোনায় লকডাউনের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি সেখানকার পরিবারগুলোকে আর্থিক চাপের মুখে ফেলছে।
মূল্যস্ফীতির এই বাস্তবতায় যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেটগুলো এখন তাদের বাজার হিস্যা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে জার্মান সুপারমার্কেট অ্যালডি ও লিডি যে হারে ছাড় দিচ্ছে, তাতে যুক্তরাজ্যের বড় চার প্রতিষ্ঠান টেসকো, সেইনসবারিস, অ্যাসডা ও মরিসন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। একদিকে অর্থনীতির গতি নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে সুপারমার্কেটগুলো কঠোর বাজারের মধ্যে কর্মীর সংকটে পড়েছে।
এদিকে অ্যাসডা জানিয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে তারা ঘণ্টাপ্রতি ন্যূনতম মজুরি ১০ দশমিক ১০ পাউন্ডে উন্নীত করবে। টেসকো ও লিডি আগেই মজুরি বৃদ্ধি করেছে।
এত দিন বৃহৎ চেইন শপগুলোর মধ্যে অ্যাসডার মজুরি ছিল সবচেয়ে কম—ঘণ্টাপ্রতি ৯ দশমিক ৬৬ পাউন্ড। এ নিয়ে এত দিন তারা শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। এবার সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে তারা। খবর গার্ডিয়ানের।