মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সব ব্যবসা কার্যক্রমকে নিজেদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিষিদ্ধ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেটেড। গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আগের নিষেধাজ্ঞার সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। খবর রয়টার্সের।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে টাটমাডোয়ের (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থাকে তাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন এই প্রযুক্তি জায়ান্ট। সামরিক বাহিনীকে অর্থায়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সুশীল সমাজের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ওপর ভিত্তি করে নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষ।
অবশ্য এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষে কোনো মন্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স। সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্রের কাছে বক্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। অবশ্য এই মুখপাত্র গত ফেব্রুয়ারি থেকে ফেসবুকে নিষিদ্ধ আছেন।
মেটার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উদীয়মান দেশগুলোর পাবলিক পলিসির পরিচালক রাফায়েল ফ্র্যাঙ্কেল বলেন, মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন, অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ জাস্টিস ফর মায়ানমার ও বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের গবেষণা এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সু চিসহ তাঁর দলের সিনিয়র নেতাদের বন্দী করে কয়েকটি অভিযোগে শুরু করে বিচার। সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর সু চির বিরুদ্ধে থাকা ১১টি মামলার মধ্যে ১টির রায়ে তাঁকে চার বছরের সাজা দেন জান্তা নিয়ন্ত্রিত আদালত। পরে সমালোচনার মুখে সেই সাজা দুই বছর কমান আদালত। তার দুই দিন পর সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সব ব্যবসা কার্যক্রমকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় মেটা।