যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানে হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোম্পানিটি। এক বিবৃতিতে চীনা এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জানায়, মার্কিন কংগ্রেস এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে কোনো প্রমাণ সামনে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদেশগুলোকে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ফাইভজি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এই কোম্পানির পণ্যে গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না, তার পর্যালোচনা করছে কানাডা।
এক মাস ধরে এমন ব্যাপক আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখে এবার আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিচ্ছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের রোটাটিং চেয়ারম্যান গুও পিং বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেস বারবারই যে অভিযোগের ভিত্তিতে হুয়াওয়ে পণ্য ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তার সপক্ষে প্রমাণ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা সঠিক এবং শেষ পদক্ষেপ হিসেবে এই আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছি।’
গুও পিং বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল বেআইনিই নয়, বরং হুয়াওয়েকে বৈধ প্রতিযোগিতা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে মার্কিন ভোক্তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গত বছর ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করায় কানাডার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু। ওই ঘটনার জন্য মেং কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।