ভারতে অনেক দিন ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছিল। ফলে, রিজার্ভ বৃদ্ধির নতুন নতুন রেকর্ডও হচ্ছিল। তাতে এবারে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
আগের সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর তা ১৩৪ কোটি ডলার কমেছে। এ কারণে দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৪ হাজার ১১১ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে আসে, যা বাংলাদেশের ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকার সমান। গতকাল শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) এ তথ্য পরিবেশন করে।
আরবিআইর তথ্য অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বর ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৪ হাজার ২৪৫ কোটি ডলারে উঠেছিল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। ওই সপ্তাহে রিজার্ভ ৮৮৯ কোটি ডলার বেড়েছিল। সেটিই ভারতে সর্বকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
আর্থিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, আমদানি ব্যয় মেটানো, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন রোধ, মুদ্রানীতি জোরদারকরণ, বাজারে আস্থা ধরে রাখাসহ বাজেট বাস্তবায়ন, বৃহৎ প্রকল্পে অর্থের জোগান এবং বৈদেশিক দায় পরিশোধে সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পদের মজুত হিসেবে ফরেন এক্সচেঞ্জ বা বৈদেশিক মুদ্রা মজুত রাখে।
অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, যেকোনো দেশেরই নিজস্ব মুদ্রার বাইরে বিদেশি মুদ্রায় তা রাখা উচিত। নিয়মটি সারা বিশ্বই মেনে চলে। অবশ্য এ জন্য বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই সাধারণত মার্কিন ডলারকে বেছে নেয়।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সোনার রিজার্ভ বা মজুতের পরিমাণও ৪১ কোটি ৩০ লাখ ডলার কমেছে। এতে সোনার মজুত ৩ হাজার ৭৬৭ কোটি ডলারে নেমে গেছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।