বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এখন হংকং। এর পরেই রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ও ফ্রান্সের প্যারিস। জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তৈরি নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগের বছরও ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় প্রথম ছিল হংকং। সে সময় হংকংয়ের সঙ্গে তালিকার শীর্ষে ছিল এশিয়ার আরও দুই শহর সিঙ্গাপুর ও জাপানের ওসাকা। তবে এ বছর সিঙ্গাপুর নেমে গেছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে ওসাকার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে ইসরায়েলের তেল আবিব।
দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এই জরিপে দেখা গেছে, করোনা মহামারির কারণে বিদেশি কর্মী কমে যাওয়ায় ব্যাপক হারে চাহিদাও কমে গেছে সিঙ্গাপুরে। যার ফলে কমেছে পণ্যের দাম। একই অবস্থা ওসাকাতেও। অন্যদিকে গতবারের তালিকায় জুরিখ ও প্যারিস যৌথভাবে পঞ্চম হলেও এ বছর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো ও সুইস ফ্রাঁর মান বেড়ে যাওয়ায় তালিকায় এগিয়ে এসেছে তারা। এ ছাড়া মার্কিন-চীন উত্তেজনায় পণ্যের দাম বাড়ায় এ তালিকায় ওপরের দিকে উঠে এসেছে অনেক চীনা শহর।
ইআইইউর প্রধান উপাসনা দত্ত বলেন, আগের বছরগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে এশিয়ান শহরগুলো তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে মহামারি এবার এই তালিকার রদবদল করেছে। ব্যাংকক ২০ ধাপ পিছিয়েছে, এখন সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ৪৬তম স্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপের শহরগুলো গত বছরের তুলনায় কম ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে পশ্চিমা ইউরোপীয় শহরগুলো ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। গতবারের তুলনায় তালিকায় এক ধাপ করে নিচে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন শহর নিউইয়র্ক, কোপেনহেগেন ও লস অ্যাঞ্জেলেস। এ বছর জেনেভার সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে নিউইয়র্ক। নবম স্থানে কোপেনহেগেন ও লস অ্যাঞ্জেলেস।
যুক্তরাজ্যের শহরগুলোর মধ্যে লন্ডন, ম্যানচেস্টারের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। লন্ডন তিন ধাপ এগিয়ে হয়েছে ২০তম। আর ম্যানচেস্টার গত বছরের ৫১তম থেকে এ বছর উঠে এসেছে ৪৬তম স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর সিডনি (১৫তম), এরপর মেলবোর্ন (১৮তম), ব্রিসবেন (৩৮তম) এবং অ্যাডিলেড (৪৬তম)।
তালিকায় সবচেয়ে বেশি সামনে এসেছে ইরানের শহর তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা একলাফে ২৭ ধাপ এগিয়েছে।