বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে সবাই এখন গ্রিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দাবির মুখে অধিকাংশ কোম্পানিই এখন জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। ফলে বিশ্ব এখন ভয়াবহ তেল সরবরাহ–সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সৌদি আরবের আরামকো কোম্পানির প্রধান আমিন নাসের। খবর রয়টার্সের
বিশ্বের বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো। গতকাল সোমবার কোম্পানির প্রধান আমিন নাসের জানান, দ্রুত তেল উৎপাদনের চাহিদা থাকলেও বিনিয়োগের অভাবে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো যাচ্ছে না। বর্তমানে তারা দৈনিক ১২ মিলিয়ন বা ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। ২০২৭ সালের মধ্যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৩ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল উৎপাদনের চিন্তা করছেন নাসের।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত মজুতের পরিমাণ ২ শতাংশেরও কম। করোনার আগে বিমান কোম্পানিগুলো প্রতিদিন ২৫ লাখ ব্যারেল তেল ব্যবহার করত। বর্তমানে তারা যদি ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরা আরও ভয়াবহ সংকটে পড়ব।’
বিনিয়োগের অভাবে বিশ্ব এখন জ্বালানি–সংকটের মুখে। করোনার শুরুতে এ সংকটের সূত্রপাত। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এর তীব্রতা আরও বেড়েছে। চীনে করোনার কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ বেশি দিন স্থায়ী হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এর পর বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সৌদি আরব বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। চলতি বছরের শেষের দিকে ওপেক ও রাশিয়ার চুক্তি শেষ হয়ে গেলে উৎপাদন আরও বেড়ে ১১ মিলিয়নে উন্নীত হবে। তেলের এ বৈশ্বিক সংকট মেটাতে রিয়াদের প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে নাসের বলেছেন, ‘আমরা যদি ২০২৭ সালের মধ্যে উৎপাদন বাড়াতে পারতাম, তাহলে তা করে ফেলতাম, কিন্তু এ জন্য সময় প্রয়োজন। নীতিনির্ধারকদের আমরা এটাই বলেছি।’