মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর ২০১৯ সালের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১৫ নম্বরে থাকা ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ার্স নারীদের মধ্যে শীর্ষ ধনীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত ধনী নন। ফরাসি প্রসাধনসামগ্রী লরিয়েলের কর্ণধার তিনি। একই সঙ্গে পারিবারিক হোল্ডিং কোম্পানিরও চেয়ারম্যান তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।
লরিয়েলের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন শুয়েলারের নাতনি ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ার্স। তিনি লরিয়েলের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেন ১৯৯৭ সালে। তাঁর মা লিলিয়ান বেটেনকোর্টের মৃত্যুর পর গত বছরই তিনি প্রথম শীর্ষ ধনীর তালিকায় উঠে আসেন। ১৯৮৭ সালে ফোর্বস শীর্ষ ধনীর তালিকা করেছে। তখন থেকেই লিলিয়ান সেই তালিকায় প্রতিবারই ছিলেন।
গত বছর বেটেনকোর্ট মেয়ার্সের সম্পদ ১৭ শতাংশ বা ৭১০ কোটি ডলার বেড়েছে। লরিয়েলের রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা হওয়ায় তার সম্পদ এতটা বেড়েছে। গত বছর কোম্পানির রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলার। লরিয়েলের ৩৩ শতাংশের অংশীদার বেটেনকোর্ট মেয়ার্স ও তাঁর পরিবার। নারীদের মধ্যে এবারই মেয়ার্স শীর্ষ ধনী হলেও এই তালিকায় তিনি নতুন নন। গত এক দশকে ওয়ালটন ও বেটেনকোর্ট পরিবারের নারীরাই শীর্ষ ধনী হয়েছেন। মূলত তিনি ২০১৮ সালের মার্চ মাসেই গতবারের শীর্ষ ধনী অ্যালিস ওয়ালটনকে ছাড়িয়ে যান।
বেটেনকোর্ট মেয়ার্স প্যারিসে থাকেন। পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বেটেনকোর্ট শুয়েলার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তিনি। ব্যবসায়ী পরিচয়ের বাইরে মেয়ার্স একজন লেখকও। তিনি গ্রিক দেবতাদের নিয়ে যেমন লিখেছেন, তেমনি বাইবেলের ওপরও ভাষ্য লিখেছেন।
ফোর্বস–এর তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ নারী ধনী হয়েছেন ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের একমাত্র মেয়ে অ্যালিস ওয়ালটন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। তবে এখন ব্যবসার চেয়ে তিনি শিল্প সংগ্রহেই বেশি আগ্রহী। ২০১১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসে ক্রিস্টাল ব্রিজেস মিউজিয়াম অব আমেরিকান আর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সংগৃহীত শিল্পের মূল্য কয়েক মিলিয়ন ডলার। তাঁর ভাই রব ও জিম ওয়ালটনও উৎসাহী শিল্প সংগ্রাহক। নারীদের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন বিশ্বের বৃহত্তম ক্যান্ডি কোম্পানি মার্সের মালিক ৭৯ বছর বয়সী জ্যাকুলিন মার্স। সামগ্রিক তালিকায় তাঁর স্থান ৩৩ নম্বরে। গত বছর তিনি ছিলেন ১৮তম স্থানে।