চীন থেকে পণ্য আমদানিতে আরও ৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার পরপর কয়েকটি টুইটে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চীন থেকে ২৫০ বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানিতে যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আছে, তা বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হলো। এ ছাড়া ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশের বদলে এখন থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হবে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে নতুন এই শুল্ক কার্যকর হবে।
ওয়াশিংটনের আগে আরোপিত শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন। ট্রাম্প চীনের এই নতুন পদক্ষেপ ভালোভাবে নেননি। এক টুইটে একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। চীন অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে—এমন অভিযোগও তোলেন ট্রাম্প।
টুইটে ট্রাম্প বলেন, দুঃখের বিষয়, অতীতের প্রশাসন চীনকে ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের তুলনায় এতটা এগিয়ে যেতে দিয়েছে যে মার্কিন করদাতাদের পক্ষে এটি একটি বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি মার্কিন সংস্থাগুলোকে চীনের বিকল্প সন্ধানের জন্য আদেশ দিয়েছিলেন। সংস্থাগুলো দেশেই পণ্য তৈরি করার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়।
চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাঁচ হাজারেরও বেশি মার্কিন পণ্য আমদানিতে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হবে। এর মধ্যে কৃষিপণ্য, এয়ারক্রাফট ও অপরিশোধিত তেল রয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন গাড়ি আমদানিতে পুনরায় শুল্ক আরোপের কথাও জানায় দেশটি।
চীনের এই ঘোষণার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
১ আগস্ট ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা। স্মার্টফোন, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যে এ শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে।
নতুন এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জোরদার হলো। চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য–ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গত বছর থেকে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর চীনও পাল্টা পদক্ষেপ নেয়।