গ্রিসে জুন থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে পর্যটন মৌসুম। এ ছাড়া জুলাই থেকে জনবহুল স্থানগুলোতে আন্তর্জাতিক ভাড়া করা উড়োজাহাজ (চার্টার্ড ফ্লাইট) পুনরায় চালু হবে। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক ভাসণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস এ কথা বলেন।বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা এই গ্রীষ্মে কোভিড–১৯ সংকটের ইতি টানি। করোনা মহামারির কারণে এক রকম ধ্বংসের মুখে গ্রিসের পর্যটন শিল্প। দেশের অর্থনীতির অন্তত গুরুত্বপূর্ণ খাত এটি।
এর আগে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যটন মন্ত্রীরা ইউরোপীয় পর্যটন খাতকে দ্রুত ও পূর্ণ পুনরুদ্ধারে সব উপায় গ্রহণ করার বিষয়ে সম্মত হন। এর পরই গ্রিসের সরকার জুনে পর্যটন মৌসুম খুলে দেওয়ার কথা জানায়।
ভাইরাসের বিস্তার কিছুটা কমে আসায় ধীরে ধীরে পুরো ইউরোপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বলেন, গ্রিস সংকট সামাল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে এটি 'সুরক্ষা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বাস্থ্যের পাসপোর্ট'। তিনি বলেন, এট বিরাট সুখ্যাতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যেমন স্বাস্থ্য যুদ্ধে জিতেছি, তেমনি অর্থনৈতিক যুদ্ধেও জিতব।'
করোনা মহামারি মোকাবিলায় গ্রিসের ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয়। দেশটিতে এ পর্যন্ত কোভিড–১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৫০ জন। মারা গেছে ১৬৬ জন।
পর্যটকদের উৎসাহিত করতে গ্রিস অস্থায়ীভাবে সব পরিবহন ভ্রমণের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়ে দিয়েছে। বিমান ও বাস যাত্রায় ভ্যাট ২৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ভ্রমণ আরও সস্তা হয়েছে। এ ছাড়া আগত পর্যটকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে। যদিও দেশটিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার বিষয়টি এতটা সহজ কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।