দুই কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হবে। এই এলএনজি সরবরাহের কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড।
আজ বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান দুটির এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়। তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষর করার অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩টিতে উন্নীত হয়।
এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ সই করা ২৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রস্তাব আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে এবং তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এক কার্গো এবং গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। টোটাল এনার্জিস থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার। আর গানভোর থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৭ ডলার।
এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির আজ বুধবারের বৈঠকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এ চিনি বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১২০ টাকা ৯০ টাকা। দেশি প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এ চিনি সরবরাহ করবে।