বিদায়ী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশ থেকে ৪২ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া পরিসংখ্যানের চেয়ে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার কম।
মুদ্রানীতি কমিটির চতুর্থ সভার কার্যবিবরণীতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে তিন অর্থবছর ধরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি কমছে।
১৪ জুলাই মুদ্রানীতি কমিটির সভা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশের সঙ্গে মিল রেখে আজ বৃহস্পতিবার ওই সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাসের শুরুর দিকে রপ্তানি হিসাবের গরমিলের তথ্য প্রকাশ করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি প্রথমে বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের পণ্য রপ্তানির সংশোধিত হিসাব প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কম।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই–মে পর্যন্ত ১১ মাসের পণ্য রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই–মে সময়কালে ৪ হাজার ৭৩ কোটি ডলারের প্রকৃত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি তার আগের ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ কম। ২০২২–২৩ অর্থবছরের জুলাই–মে ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৫ কোটি ডলারের পণ্য।
অবশ্য ইপিবি গত মাসে এনবিআরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী দাবি করে, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই–মে) রপ্তানি হয়েছিল ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলারের পণ্য। এই রপ্তানি তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৫ হাজার ৫৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গত দুই অর্থবছরের ২২ মাসের প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩২৮ কোটি ডলার। যদিও ইপিবির দাবি ছিল, এ সময়ে রপ্তানি হয়েছে ১০ হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য। তার মানে, রপ্তানির হিসাব থেকে ১ হাজার ৮৭৯ কোটি ডলার উধাও হয়ে গেছে।