পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণ হিসেবে একসঙ্গে তিনটি প্রদর্শনী হবে। সেগুলো হলো, ২৩তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ২২তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো ২০২৪-সামার এডিশন ও ৪৫তম ডাই+ক্যাম বাংলাদেশ ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন। বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে প্রদর্শনীগুলো আয়োজনের নানা বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই তিনটি প্রদর্শনী বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলশিল্পের বৃহত্তম ও প্রথম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী; বিগত ২২ বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছর ২৩তম বার এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এসব প্রদর্শনী ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের জন্য বৃহত্তম মিলনমেলা। প্রদর্শনীগুলো বিদেশি ও দেশি সরবরাহকারী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দেশের বাইরে গিয়ে ক্রেতা অনুসন্ধান বা ভিসা জটিলতা পোহাতে হচ্ছে না। বরং অর্থ, শ্রম ও সময়ের সাশ্রয় করে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলশিল্প–সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও সরবরাহকারীরা এক ছাদের নিচে একত্র হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এ প্রদর্শনীগুলো সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ আয়োজিত টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশনের অংশ; প্রতিবছর বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মরক্কো, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়। টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশন ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলশিল্পের অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা পালন করছে। প্রদর্শনীগুলোতে ২ হাজার ২৪৫টির বেশি বুথসহ ৩৭টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৪৭৫টিরও বেশি কোম্পানি প্রতিনিধিত্ব করছে।
ঢাকার পূর্বাচলে চলমান আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীগুলোতে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল মেশিনারি, ইয়ার্ন, ফেব্রিক, ট্রিমস, অ্যাকসেসরিজ, ডাইস্টাফ, টেক্সটাইল রাসায়নিকসহ সর্বাধুনিক টেক্সটাইল পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এবারের টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণের উল্লেখযোগ্য সংযোজন হলো সাসটেইনেবিলিটি জোন, যেখানে অংশগ্রহণ করছে বিওয়াইটিইএস প্রজেক্ট অব সুইস কনটাক্ট, রিসাইকেল রো, স্কিউব টেকনোলজিস লিমিটেড ও প্রগতি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস (প্রাইভেট) লিমিটেড। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং আন্তর্জাতিক মানের শিল্পক্ষেত্র তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটি। পাশাপাশি প্রদর্শনী চলাকালীন গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলশিল্প–বিষয়ক চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
৬ থেকে ৯ নভেম্বর চার দিনব্যাপী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার, পূর্বাচল, ঢাকায় এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলো অনুষ্ঠিত হবে।