ডলার-সংকটের এ সময়ে পণ্য রপ্তানি আবারও কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ আর অক্টোবরে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ফলে টানা দুই মাসে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি কমল।
গত অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য। অবশ্য টানা দুই মাসে রপ্তানি কমলেও সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এ খাত ইতিবাচক ধারায় আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ বুধবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের হিসাবে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে। অন্যদিকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। তার মধ্যে প্রথম চার মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। আয় হয়েছে তার চেয়ে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত অক্টোবরে প্রবাসীরা ১৫২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।