পর্দা নামল মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মেলার সমাপনী ঘোষণা করা হয়। পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ১ জানুয়ারি থেকে এ মেলা শুরু হয়েছিল।
এ উপলক্ষে আয়োজকেরা এক সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এবারের মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মেলায় ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাসব্যাপী মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী ভিড় করেন। পাশাপাশি মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ব্যবসায়ীদের নতুন পণ্য উৎপাদন, বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গত বছর আমরা ৫১ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। তার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৬১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক এ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ১০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে প্রথম বা সেরা নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল, তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল। এর বাইরে শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা শ্রেণিতে চারটি প্রতিষ্ঠান, সেরা ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠান, সেরা আসবাব উৎপাদনকারী বা রপ্তানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠান এবং উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।